কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে বহিষ্কৃত ৪০ ডাক্তারি পড়ুয়া
এই সময় | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এই সময়, কৃষ্ণনগর: কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার ও সিন্ডিকেট’ চালানোর অভিযোগে ৪০ জন ডাক্তারি-পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করল মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিল। বৃহস্পতিবার কাউন্সিলের বর্ধিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ মণিদীপ পাল।তিনি বলেন, ‘৪০ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে হস্টেল, হাসপাতাল ও কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নানা রকম অনিয়ম ও অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ মেলায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাউন্সিল।’ এ দিন রাত ৮টার মধ্যে অভিযুক্ত ৪০ জন পড়ুয়াকে হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার কমিটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে সদ্য অপসারিত অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং সহকারি অধ্যাপক অয়ন ঘোষের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত থাকায় অভিযোগ ওঠায় তাঁদেরও কলেজের প্রশাসনিক পদে না-রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, শাস্তিপ্রাপ্ত এই ডাক্তারি পড়ুয়া বা চিকিৎসকদের বেশির ভাগই তথাকথিত উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠ।
এ দিন বহিষ্কৃত ছাত্র নেতাদের কেউই শাস্তি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ডিজিটল, প্রিন্টেড ডকুমেন্ট, ব্যক্তিগত অভিযোগের কপি স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের তৃণমূল সমর্থিত স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার কমিটির দাপুটে ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছিলেন এখানকার একদল ডাক্তারি-পড়ুয়া।
মেডিক্যাল কলেজের নতুন অধ্যক্ষর কাছে দাদাদের ‘থ্রেট সিন্ডিকেট’-এর কথা লিখিত ভাবে জানিয়ে অবস্থা বদলের আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা। ২০২২-২৭ শিক্ষাবর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ ওই সিন্ডিকেটে যুক্ত বলে অধ্যক্ষের কাছে পাঠানো চিঠিতে দাবি করা হয়েছিল। তাঁদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন কাউন্সিলের বর্ধিত সভা হয়।
প্রতিবাদী এক ছাত্র নেতা বলেন, ‘সিন্ডিকেটের দাদাদের মুখের কথাই আইন। কোন ক্যান্টিনে খাব, হস্টেলে কোন পোশাকে থাকব, কলেজের সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে ঢুকতে বা কোনও বই পড়তে গেলে ওদের অনুমতি নিতে হতো।’