• 'জল ছাড়ার কথা রাজ্য আগে থেকেই জানত', মমতাকে পাল্টা চিঠি কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রীর...
    ২৪ ঘন্টা | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • রাজীব চক্রবর্তী: রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি এবং তাতে ডিভিসির ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  চার পাতার সেই চিঠিতে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর ওই চিঠির জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সিআর পাতিল। 

    চিঠিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, মাইথন এবং পাঞ্চেত রিজার্ভার পরিচালনা করে দামোদর ভ্যালি রিজার্ভার রেগুলেশন কমিটি বা ডিভিআরআরসি। পশ্চিমবঙ্গের চিফ ইন্জিনিয়াররাও সেই কমিটির সদস্য। রাজ্যের অনুরোধ মেনে ১৪-১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভার থেকে জল ছাড়া ৫০% কমানো হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে বড় বিপর্যয় এড়াতে বাঁধের জল ছাড়তে বাধ্য হয় ডিভিআরআরসি। যদিও ৪.২৩ লক্ষ কিউসেকের বদলে ২.৫ লক্ষ কিউসেক জলই ছাড়া হয়েছিল তখন। 

    তিনি জানিয়েছেন, জল না ছাড়া হলে দক্ষিণবঙ্গ সহ একটা বিস্তীর্ণ অংশে বড় বিপর্যয় নেমে আসত। তিনি চিঠিতে আরও লেখেন, রাজ্য সরকারকে জল ছাড়ার আগে সবটা জানান হয়েছিল। রাজ্যের প্রতিনিধি রয়েছে ডিভিসিতে। প্রতিনিধির দ্বারা সব তথ্য আগেই দেওয়া হয়েছিল। তারপরই জল ছাড়া হয়েছে। আর বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলে সময় বুঝে যে জল ছাড়তে হবেই, তাও জানে রাজ্য। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে না জানিয়ে জল ছাড়া হয়েছে এমন অভিযোগ ঠিক নয়। পাশাপাশি, দুটি রিজার্ভারের ডি-সাইটেশন টেকনো-ইকনমিক্যালি ভায়াবল নয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তবে, রিজার্ভার দুটির ইনফ্লো ঠিক রাখতে একটা বড় এলাকা জুড়ে সেডিমেন্ট ম্যানেজমেন্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রের তরফে বন্যা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বরাদ্দ অনুযায়ী টাকা দেওয়া এবং মন্ত্রকের তরফে সব রকম সহযোগিতার কথা জানানো হয়েছে চিঠিতে।

    উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চিঠিতে জানিয়েছিলেন, ডিভিসি এত বিপুল পরিমাণ জল কখনওই ছাড়েনি। ২০০৯ সালের পর সবথেকে খারাপ বন্যা পরিস্থিতির মুখে পড়েছে রাজ্য। এই বন্যায় ইতিমধ্যে ১০০০ কিলোমিটার জমি জলের তলায়। প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত। তাঁদের ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে চাষের জমি, গবাদিপশু সমস্ত কিছুরই ক্ষতি হয়েছে । এমন পরিস্থিতিতে তিনি এটিকে  'ম্যান মেড বন্যা' বলতে তিনি বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি এও জানিয়েছেন যে, এমন পরিস্থিতি তৈরির পরও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। 

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)