মুহম্মদ শামসুল হক ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড। প্রতিবন্ধী। পোলিও আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর দুটি পা-ই অচল। কোনও রকমে চলে তাঁর। তাঁর স্ত্রী-ও পোলিও আক্রান্ত। এহেন এক পরিবার প্যানক্রিয়াসে পাথরের অপারেশন করাবে কী করে? বহু জায়গায় তাঁরা ঘুরেছেন চিকিৎসা করানোর জন্য। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। তখনই তাঁরা শোনেন, হাওড়ায় থাকেন এসএসকেএমে'র এক ডাক্তার। তড়িঘড়ি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। তাঁকে সব কিছু খুলে বলেন। সব কিছু শুনে সব ব্যবস্থা করে দেন সিরাজ আহমেদ।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার জেরে সিরাজ আহমেদ শামসুল হক ও স্ত্রীর কাছে যেন সাক্ষাৎ দেবদূতে রূপান্তরিত। তাঁর চেষ্টাতেই এতদিন পরে একটা সুরাহা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে!
শুধু শামসুল হকের চিকিৎসার খরচ সংক্রান্ত ব্যাপারই যে সামলান ডক্টর সিরাজ, তা নয়। শামসুল হক পোলিও আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর চিকিৎসাতেও যথেষ্ট জটিলতা দেখা দেয়। তবে সমস্ত পরীক্ষার পরই নিশ্চিন্ত হয়ে তাঁকে অপারেশনে ডাকেন সিরাজ। তখন আর এক দফা সমস্যা। তাঁকে অ্যানাস্থেশিয়া করতে গিয়েও সমস্যা দেখা যায়। যাই হোক, সমস্ত বাধা ধীরে ধীরে টপকে তাঁর সফল অপারেশন করতে সক্ষম হন সিরাজ আহমেদ।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা হয় শামসুলের। এই কার্ডের মাধ্যমে অপারেশনের ৫০ শতাংশ খরচের ব্যবস্থা হয়। বাকিটা নিজের পকেট থেকে দেন সিরাজ আহমেদ। শুধু তাই নয়, শামসুলের চিকিৎসার এই সমস্ত বিষয়টি, তাঁর অপারেশনের সাফল্য ও শামসুলের সুস্থ থাকা-- সবটা তিনি আরজি করের নির্যাতিতা অভয়াকে উৎসর্গ করেন।