হাওড়া-মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে এই ঘটনার সম্মুখিন হয়েছেন অনেকে। চার্ট প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার পরেও তাদের সিট ওই কামরায় ছিলনা। ওই ট্রেনেই টিকিট কেটেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মিজানুল কবির। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার নিশ্চিত সংরক্ষিত টিকিট থাকা সত্ত্বেও, কোচ D2-এ নির্দিষ্ট আসন (আসন নম্বর ১০৪) পাওয়া যায়নি। এই সমস্যার মুখোমুখি হয়ে, তিনি ডিআরএম (হাওড়া) এর সাথে যোগাযোগ করলে তাকে জানানো হয় যে, বিশেষ কারনবশত ১০৮ আসনের পরিবর্তে ট্রেনে ৯০ আসনের কামরা যুক্ত করা হয়। এর ফলে, ৯১ থেকে ১০৮ নম্বর আসনগুলোকে ওয়েটলিস্টে পরিণত করা হয়। তিনি আরও বলেন, চার্ট প্রস্তুতির পর এ ব্যাপারে কোনো তথ্য যাত্রীদের কাছে সরবরাহ করা হয়নি, এবং তার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে কোনো আপডেটও পাঠানো হয়নি। এই একই সমস্যা আরও অনেকজন যাত্রীর সাথে ঘটেছে, যাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন বয়স্ক ও শিশু যাত্রী। এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের বিশাল হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়েছে, কারণ তারা নিশ্চিত টিকিট থাকা সত্ত্বেও কোনো আসন পাননি।
ভারতের একটা বৃহৎ অংশ রেলযাত্রার ওপর নির্ভরশীল। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় রেলের যাত্রীদের প্রতি এই ধরনের ঘটনা হয়রানি ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ।