জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বছর খানেক আগেই বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকে বনিবনা হচ্ছিল না কিছুতেই। দিনরাত স্ত্রীয়ের সঙ্গে ঝগড়া-অশান্তি লেগেই থাকত। যা চরম আকার নেয়। সাংসারিক অশান্তির জেরে শাশুড়িকে ছুরি মেরে খুন করার অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে অভিযুক্তের স্ত্রী ও শ্যালক। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গাইঘাটা থানার ইছাপুর ২ পঞ্চায়েতের গুটি ইংলিশ পাড়া এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সরস্বতী বিশ্বাস। বয়স ৪৫। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর খানেক আগে ঠাকুরনগরের বাসিন্দা রাজদীপ সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় গাইঘাটার গুটি ইংলিশ পড়ার বাসিন্দা মেয়ে বীনা বিশ্বাসের। বিয়ের পর থেকে রাজদীপ ও বীনার মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। বিনার আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। সেই নিয়ে বীনাকে রাজদীপ প্রায় কথা শোনাতেন। এমনকী গায়েও হাত তুলতেন। পরিবারের অভিযোগ নিত্য অশান্তির জেরে বীনাকে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলারও চেষ্টা করে রাজদীপ।
দিন দুয়েক আগে স্বামীর সঙ্গে চরম অশান্তি হলে মায়ের কাছে চলে আসেন বীনা। তার পরেই বৃহস্পতিবার রাতে রাজদীপ শ্বশুর বাড়িতে আসেন। শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। অভিযোগ অশান্তি তীব্র আকার ধারণ করলে ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে মারতে যান অভিযুক্ত। শাশুড়ি সরস্বতি বাঁধা দিলে তাঁকে এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকেন। ঘরেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন শাশুড়ি সরস্বতী। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন বীনা ও তাঁর ভাই।
স্থানীয়রা তড়িঘড়ি সকলকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক সরস্বতীদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল থেকে বারাসাতে স্থানান্তর করা হয় জখম দুজনকে। ঘটনার পর রাতেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন রাজদীপ। শুক্রবার সকালে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বনগাঁ মহাকুমা আদালতে পাঠায় পুলিশ।