অপহরণ কাণ্ডে CID-র হাতে গ্রেপ্তার, বারসতের সেই কাউন্সিলরকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
প্রতিদিন | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অর্ণব দাস, বারাসত: ত্রিপুরার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে সিআইডি-র হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পরই দলের কাউন্সিলরকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। বারাসত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা দলীয় সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানান, “দলবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দল কোনও মতেই এই ধরনের কাজ বরদাস্ত করে না।” শুক্রবার মিলন সর্দার নামে ওই কাউন্সিলরকে বারাকপুর আদালতে পেশ করা হলে ৯ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
ঘটনা ঠিক কী? প্রসঙ্গত, সোদপুরের একটি আবাসনে পরিচিতের বাড়িতে এসেছিলেন ত্রিপুরার ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই আবাসনের নিচে পার্কিং লটে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে কয়েকজন তাঁকে জোর করে গাড়িতে তোলে। অপহরণ করার পর ওই ব্যবসায়ীকে প্রথমে বারাসতের একটি বাগান বাড়িতে রাখা হয়। তার পর একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে সিআইডি বারাসতের ওই আবাসনে হানা দিয়ে ত্রিপুরার ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার করা হয় সাত জনকে।
তদন্তে নেমে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা জানতে পারেন, এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বারাসত পুরসভার ২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিলন সর্দার। অপহরণের পরিকল্পনা করা থেকে বারাসতে ব্যবসায়ীকে রাখা, সবটার সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন এই তৃণমূল নেতা। তবে ঘটনার পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে বৃহস্পতিবার কাউন্সিলরের বাড়িতে ফেরার খবর পেয়ে রাতেই সিআইডি পৌঁছয় সেখানে। হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে মিলন সর্দারকে। এই খবর জানা মাত্রই কাউন্সিলরকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
এনিয়ে শুক্রবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, ”কাকলি ঘোষ দস্তিদারের আশীর্বাদ ছিল বলেই ওই কাউন্সিলর এই নোংরা কাজ করে গিয়েছে।” পালটা বারাসতের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ”উনি বিরোধী দলনেতার পদ অমর্যাদা করেছেন। বেহিসেবি কথা বলছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা করছি।”