সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে শুক্রবার গেলেন তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের কন্যা। তিনি জানালেন, কিছু নথি জমা দেওয়ার ছিল। সেগুলি নিয়ে তিনি এসেছেন। তাঁর বাবাকে শুক্রবার আর তলব করা হয়নি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই ইডির দফতরে তলব করা হয়েছিল সুদীপ্তকে।
শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তিনটি ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, বাজেয়াপ্ত করা তিনটি ফোন খোলার জন্য বৃহস্পতিবার সুদীপ্তকে ডাকা হয়েছিল। নিয়ম মোতাবেক, তদন্তের জন্য বাজেয়াপ্ত করা ফোন ব্যবহারকারীর সামনেই খোলা হয়। সেই নিয়মের কথা মাথায় রেখে ওই তিনটি বাজেয়াপ্ত ফোনের জন্য সুদীপ্তকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলে জানা যায়। শুক্রবার সুদীপ্তের কন্যা জানিয়েছেন, ওই ফোন এখনও ফেরত দেয়নি ইডি। ওগুলি এখন তদন্ত প্রক্রিয়ার অন্তর্গত।
গত মঙ্গলবার আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিঁথির মোড়ের কাছে বিটি রোডের ধারে সুদীপ্তের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডির আধিকারিকেরা। তল্লাশি চালানো হয় সুদীপ্তের বাড়ি লাগোয়া নার্সিংহোম এবং হুগলির দাঁড়পুর গ্রামের বাংলোয়। গত সপ্তাহে সুদীপ্তের বাড়ি এবং নার্সিংহোমে তল্লাশি চালিয়েছিল আর এক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে আগেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তার পর থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আতশকাচের তলায় ছিলেন শ্রীরামপুরের বিধায়ক তথা শাসকদলের চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত। তিনি রাজ্যের হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্য। একই সঙ্গে আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যানও।