• উত্তরবঙ্গের ৫০টি রুগ্ন চা বাগানের শ্রমিকদের বোনাসেরও নিষ্পত্তি
    বর্তমান | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদয়ার: অবশেষে শুক্রবার উত্তরবঙ্গের ৫০টি রুগ্ন চা বাগানের শ্রমিকদের বোনাসেরও নিষ্পত্তি হল। রুগ্ন বাগানের শ্রমিকরা ৯-১৫ শতাংশ হারে এবার পুজো বোনাস পাবেন। এনিয়ে সমতলের ১৭৬টি চা বাগানের শ্রমিকদের পুজো বোনাসের নিষ্পত্তি হল। ফলে পুজোর তিন সপ্তাহ আগে উত্তরবঙ্গের পাঁচ লক্ষ চা শ্রমিক পরিবারের মুখে হাসি ফুটল। বোনাসের নিষ্পত্তি হওয়ায় একইভাবে উত্তরের চা বলয়ের হাটগুলির ব্যবসায়ীদের মধ্যেও খুশির হাওয়া।


    বৃহস্পতিবার রাত ১১টা পর্যন্ত কলকাতায় বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের ভবনে ১৭৬টি চা বাগানের মধ্যে সচল ১২৬টি চা বাগানের শ্রমিকদের পুজো বোনাসের নিষ্পত্তি হয়। সচল বাগানের শ্রমিকরা এবছর ১৬ শতাংশ হারে পুজোর বোনাস পাবেন। শুক্রবার বাকি ৫০টি রুগ্ন চা বাগানের শ্রমিকদেরও  বোনাস নিষ্পত্তি হয়। রুগ্ন চা বাগানগুলিকে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে শ্রমিকদের ৯ থেকে ১৫ শতাংশ হারে দুর্গাপুজোর বোনাস পাবেন। 


    উত্তরবঙ্গের পাঁচ লক্ষ চা শ্রমিককে বোনাসের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা তিন লক্ষের কাছাকাছি। বাকিরা অস্থায়ী। বোনাস নিষ্পত্তি হওয়ায় মালবাজার থেকে কুমারগ্রাম, উত্তরের চা শ্রমিক মহল্লায় এখন খুশির হাওয়া বইছে। শ্রমিকদের হাতে বোনাসের টাকা আসা শুরু হলেই চা বলয়ের হাটগুলিতে পুজোর কেনাকাটার ধুম পড়ে যাবে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। গত বছর শ্রমিকদের সর্বোচ্চ পুজো বোনাস ছিল ১৯ শতাংশ। কিন্তু এবার ৩ শতাংশ কমে গেলেও চা শ্রমিক সংগঠনগুলি তা মেনে নিয়েছে। ফলে এবার নির্বিঘ্নেই শ্রমিকদের বোনাস নিষ্পত্তি হয়েছে।


    কিন্তু কোনওরকম তাপ উত্তাপ ছাড়াই কেন এবার এতটা নির্বিঘ্নে চা শ্রমিকদের বোনাস চুক্তি হল? তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার বলেন, এটা ঠিক যে এবার অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বোনাস নিষ্পত্তি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবার চা বাগানে উৎপাদন কমেছে। চায়ের দামও কমে গিয়েছে। মালিকপক্ষের এই যুক্তি আমরা মেনে নিয়েছি। একই কথা বলেন বিজেপির শ্রমিক সংগঠন বিটিডব্লুইউয়ের চেয়ারম্যান তথা সাংসদ মনোজ টিগ্গাও। তিনি বলেন, মালিকপক্ষের যুক্তি আমরা মেনে নিয়েছি। 


    টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান চিন্ময় ধর বলেন, প্রাকৃতিক কারণে এবার চায়ের ফার্স্ট ও সেকেন্ড ফ্লাসের উৎপাদন মার খেয়েছে। বাজারে চায়ের দামও পড়ে গিয়েছে। ফলে এবার ১৬ শতাংশের বেশি যে বোনাস দেওয়া সম্ভব নয় আমরা শ্রমিক সংগঠনগুলিকে সেকথা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
  • Link to this news (বর্তমান)