সংবাদদাতা, বনগাঁ: পারিবারিক বিবাদের জেরে শাশুড়িকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গাইঘাটা থানার গুত্রী ইংলিশপাড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতার নাম সরস্বতী বিশ্বাস (৫৩)। এই ঘটনায় জখম অভিযুক্তের স্ত্রী বীণা সরকার ও শ্যালক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। অভিযুক্ত রাজদীপ সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে সরস্বতী বিশ্বাসের মেয়ে বীণার সঙ্গে ঠাকুরনগর নওদাপাড়ার বাসিন্দা রাজদীপের বিয়ে হয়। বীণার আগের পক্ষের এক সন্তান রয়েছে। রাজদীপ সরকারেরও আগে একবার বিয়ে হয়েছিল বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। তার আগের পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানরা অন্যত্র থাকেন। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই রাজদীপ ও বীণার মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। রাজদীপ বীণাকে মারধর করত বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। সেই সময় রাজদীপ স্ত্রীকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বীণা কোনওমতে সেখান থেকে পালিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। অভিযোগ, এরপর ফোন করে বীণাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় রাজদীপ। রাতে যখন সকলে খেতে বসেছিলেন, সেই সময় রাজদীপ শ্বশুরবাড়িতে এসে আচমকা স্ত্রীর উপর চড়াও হয়। ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে তাঁকে। মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন সরস্বতী দেবী। সেই সময় তাঁকেও এলোপাথাড়ি কোপায় অভিযুক্ত। মাকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন বীণা ও ছেলে বিশ্বজিৎ। ঘরের মধ্যে লুটিয়ে পড়েন সরস্বতী দেবী। ভয়ে সেই সময় খাটের নীচে লুকিয়ে পড়ে বীণার ছোট্ট মেয়ে। পরবর্তীতে বীণা এবং তাঁর ভাই বাড়ি থেকে পালিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গাইঘাটা থানার পুলিস। পুলিস সরস্বতী দেবীকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।