স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, গোসবার পাঠানখালির জেলে পাড়ার বাসিন্দা নারায়ণ ছাঁটুই এদিন মাঠে গিয়েছিলেন কাজ করতে। মাঠের মধ্যে তার বাম পায়ে বিষধর কেউটে সাপ কামড় দেয়। ঘটনার পর অন্যান্যরা তাকে উদ্ধার করে। দুটি নদী পারাপার হয়ে দীর্ঘ প্রায় ৫০ কিমি পথ অতিক্রম করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।
অন্যদিকে জয়নগর ২ ব্লকের বকুলতলা থানার মনিরতট গড় গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রিজুয়ানা মন্ডল কে শুক্রবার রাত ১টার নাগাদ বিছানার মধ্যে তীক্ষ্ণ বিষধর কালাচ সাপ কামড় দেয়। পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় এক গুনীণের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ চলে ঝাড়ফুঁক। পরিস্থিতি খারাপ হতেই বেগতিক বুঝে পরিবারের লোকজন সকালে তাকে স্থানীয় জয়নগর-কুলতলি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে ওই ছাত্রীকে পর্যাপ্ত পরিমান সাপে কামড়ানো প্রতিষেধক এভিএস দিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের মাতৃমাতে নিয়ে গেলে ওই ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষনা করে চিকিৎসকরা।
ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, সকালে সাপের কামড়ে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা খুবই দুঃখজনক।তবে শিশুটির মৃত্যু অত্যন্ত বেদনা দায়ক। কারণ রাতে বিছানায় যখন কালাচ সাপ কামড় দেয়,তারপর পরিবারের লোকজন ওঝার দ্বারস্থ হয়েছিলন। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়। ফলে চিকিৎসার সুযোগ সেভাবে পাওয়া যায়নি। যার ফলে মৃত্যু হয়। একপ্রকার ওই শিশুর মৃত্যুর জন্য তার পরিবার ও ওঝাই দায়ী। এমনটা হওয়া মোটেই উচিত নয়। সাধারণ মানুষের উচিত সাপ কামড় দিলে ওঝার কাছে না গিয়ে এবং সময় নষ্ট না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে যতই তীক্ষ্ণ বিষধর সাপ হোক না কেন রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবার মধ্যদিয়ে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।