স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের মধ্যে শনিবার এক বাসকর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য তারকেশ্বরে। খবর পেয়ে পুলিশ তারকেশ্বর বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বাস কর্মীর নাম বুদ্ধদেব হেমব্রম (২৩)। কী কারনে মৃত্যু তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খুন না আত্মহত্যা, তারও তদন্ত হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়।এ দিন সাত সকালে স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিল তারকেশ্বর- বাঁকুড়া রুটের একটি ফাঁকা বেসরকারি বাস। স্ট্যান্ডের অন্য বাসকর্মীরা দেখতে পান, ফাঁকা বাসে এক যুবকের দেহ ঝুলে রয়েছে। ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। স্ট্যান্ডে ভিড় জমে যায়। খবর দেওয়া হয় তারকেশ্বর থানায়। পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। মৃত বাসকর্মী বুদ্ধদেব হেমব্রমের বাড়ি আরামবাগের রঘুবাটি এলাকায়। তিনি তারকেশ্বর- বাঁকুড়া রুটের অন্য একটি বেসরকারি বাসের কর্মী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বাস থেকে বুদ্ধদেবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে সেই বাসে গতকাল রাতে তিনি একাই শুয়েছিলেন। আজ সকালে বাসের মধ্যে গলায় দড়ি ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁর দেহ ঝুলতে দেখেন অন্য গাড়ির বাস কর্মীরা। তাঁর পরনে গামছা ছাড়া অন্য কিছু ছিল না।
'হুগলি জেলা ইন্টার রিজিয়ন এক্সপ্রেস বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন'-এর সম্পাদক গৌতম ধোলে জানান, বুদ্ধদেব যে মালিকের বাসের কর্মী ছিলেন, সেই মালিকেরই অন্য গাড়িতে কাজ সেরে তিনি রাতে ঘুমোতেন। গতকালও সবাই যে যার মতো গাড়িতে শুয়ে পড়েন। আজ সকালে অন্য গাড়ির কর্মীরা বাসের কাছে এসে দেখেন তাঁর দেহ ঝুলছে।
গৌতম জানান, সংগঠনের লোকজনই বুদ্ধদেবেপ বাড়িতে ও পুলিশে খবর দেন। ঠিক কী ঘটেছে তা তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন সংগঠনের সম্পাদক। তবে তিনি জানিয়েছেন, ওই বাসকর্মী প্রতিদিনই ডিউটি করতেন। অন্য একটি বেসরকারি বাসের কর্মী রাকেশ হাজরা জানান, বাসে মাল তুলতে গিয়ে গেট খুলে তিনি দেখতে পান বুদ্ধদেব ঝুলছে।
অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের অনুমান, মানসিক বিষাদের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন ওই কর্মী। মৃত্যুর কারণ জানতে বুদ্ধদেবের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।