আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সিবিআই-এর তলব পেয়ে শনিবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছছেন বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। আরজি কর কাণ্ডের পরেই বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচার’-এ বড় ভূমিকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। একই সঙ্গে অভিযোগ ওঠে, ৯ অগস্ট তৎকালীন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এই চিকিৎসক আরজি করে উপস্থিত ছিলেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক হয়ে তিনি ঘটনার দিন আরজি করে কী করছিলেন? সেই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই, প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে এমনটাই।আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের নাম জড়িয়েছিল একের পর এক বিতর্কে। একাধিক মেডিক্যাল কলেজে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁকে সাসপেন্ডও করে স্বাস্থ্য ভবন। আরজি কর কাণ্ডের দিন বিরূপাক্ষ সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন বলেই অভিযোগ ওঠে।
বিরুপাক্ষ বিশ্বাস এর আগে সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, ঘটনার দিন তিনি হাসপাতালে ছিলেন। কিন্তু সেমিনার হল যেখানে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেখানে তিনি ছিলেন না। তাঁর দাবি ছিল, 'আমি সেমিনার হল কোথায় তাই জানতাম না। সংবাদমাধ্যম মারফত জানতে পারি। আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।'
সূত্রের খবর, সিবিআই-এর নজরে রয়েছেন অভীক দে-ও। ‘থ্রেট কালচার’-এর নেপথ্যে অভীকের সক্রিয় মদত ছিল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর রাজ্য শাখা এবং রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলও তাঁকে সাসপেন্ড করেছে।
এসএসকেএম হাসপাতাল থেকেও সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে জেনারেল সার্জারির স্নাতকোত্তরের এই পড়ুয়াকে। বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত অভীক দে পিজি-তে কোনও ক্লাস করতে পারবেন না। ইমার্জেন্সি কিংবা আউটডোর বা ইন্ডোরে পরিষেবা দিতে পারবেন না, অস্ত্রোপচার করতে কিংবা ওয়ার্ডে রাউন্ড দিতে পারবেন না। অভীক এবং বিরূপাক্ষ দুই জনেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ, এই তথ্য সামনে এসেছে।