প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানাতে পেরেছে, মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম-এর পাসওয়ার্ড নিয়ে বচসা হয়। আর সেই কারণেই দুই বন্ধ মিলে মারধর করে প্রীতম বিশ্বাস নামে ওই ছাত্রকে। তাতেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। এই ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নিহত ছাত্রের বন্ধুবান্ধবদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদেই মেলে সূত্র। খুনের ঘটনায় মোটিভ জানতে পারে পুলিস। ব্রেক থ্রু করে পুলিস। গ্রেফতার করে নিহত ছাত্রেরই বন্ধু অপর ২ নাবালককে। ডাক্তারি পরীক্ষার পর আজ ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয় নবম শ্রেণির ছাত্র প্রীতম বিশ্বাস। প্রাইভেট পড়ে সে আর বাড়িতে ফেরেনি। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর স্থানীয় নাকাশিপাড়া থানায় মৌখিকভাবে মিসিং-এর অভিযোগ জানায় পরিবার প্রথমে। এরপর শুক্রবার সকালে নাকাশিপাড়া থানার দোপপাড়ার একটি স্কুলের মাঠের মধ্যে তার দেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নাকাশিপাড়া থানার পুলিস। পুলিস পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত ছাত্রের মোবাইল ফোনে গেম খেলার প্রচন্ড নেশা ছিল। মোবাইল সংক্রান্ত কোনও কারণেই এই খুন বলে মনে করে পরিবার। সেইমতো পুলিসে অভিযোগও দায়ের করে। পুলিস সূত্রে জানা যায়, মৃত ছাত্রের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনটির কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি দেহ উদ্ধারের সময়। পরিবার দাবি করে, এটা পরিকল্পনা মাফিক খুন। অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে নাকাশিপাড়া থানার পুলিস। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ব্রেক থ্রু পুলিসের।