এ বিষয়ে কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, গভীর রাতে আচমকাই সমুদ্রে টর্নেডোর সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার জেরে 'এফ.বি. বাবা গোবিন্দ' নামে একটি ট্রলার উল্টে যায়। আশেপাশের ট্রলারগুলির মৎস্যজীবীরা এই ঘটনা দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা এসে ৮ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন। তবে এখনও ৯ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন। মৎস্যজীবীদের অনুমান, বাকিরা ওই ট্রলারের ভেতরেই কোনওভাবে আটকে পড়েছেন। ট্রলারটিকে সোজা করা হয়েছে। কিন্তু চারিদিকে জাল থাকার কারণে ট্রলারের ভেতরে তল্লাশি করা যাচ্ছে না। বর্তমান ট্রলারটিকে উপকূলের দিকে টেনে আনা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কদিন আগেই নিম্নচাপের উত্তাল সমুদ্রে ডুবেছিল এক বাংলাদেশি ট্রলার। ওই ট্রলারটির ডুবন্ত মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করেছিলেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। জানা গিয়েছিল, প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলায় 'এফ. বি. পারমিতা' নামের ভারতীয় ট্রলার সমুদ্র থেকে উপকূলে ফিরছিল। ফিরে আসার সময় ওই ট্রলারের মৎস্যজীবীরা দেখেন, বেশ কয়েকজনকে মৎস্যজীবী সমুদ্রে ভাসছেন! কী ব্যাপার? নিশ্চয়ই দুর্ঘটনা। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের জলে ভেসে থাকা ওই ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন। এরপরই ভারতীয় মৎস্যজীবীরা জানতে পারেন, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের মৎস্যজীবী।
এ বিষয়ে সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেছিলেন, সমুদ্র থেকে ফিরে আসার সময় ভারতীয় মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে ভেসে থাকতে দেখেন। ১২ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে পাথরপ্রতিমার ফেরিঘাটে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে একজন মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের পাথরপ্রতিমা থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল।