ভিড় নিয়ন্ত্রণ থেকে ট্রেন চলাচল, পুজোয় যাত্রী সুরক্ষায় একগুচ্ছ ব্যবস্থা শিয়ালদহ শাখায়
প্রতিদিন | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সুব্রত বিশ্বাস: দুর্গাপুজোর বাকি আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকদিন। বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলের প্রস্তুতি তুঙ্গে। কেনাকাটা চলছে জোরকদমে। আর এই উৎসবে যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার উপর বিশেষ নজর দিচ্ছে শিয়ালদহ ডিভিশন। পুজোর দিনগুলোতে দর্শনার্থীদের সুবিধায় একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শুক্রবার সমস্ত শাখা অফিসারদের সঙ্গে এনিয়ে বৈঠক করেন শিয়ালদহের ডিআরএম। ৯ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত যথা সময়ে ট্রেন চালানোর পাশপাশি লাইনের ধারে তৈরি প্যান্ডেলে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, শিয়ালদহ স্টেশনে ট্রলি চলাচলে বিধিনিষেধ-সহ নানা ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এক নজরে দেখে নিন সেই তালিকা-
১। ৯ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত পুজোর দিনগুলোতে শিয়ালদহ শাখার গ্যালোপিং ট্রেনগুলো সমস্ত স্টেশনে থামবে। যথা সময়ে যাতে ট্রেন চলাচলের দিকে বাড়তি নজর রাখা হবে।
২। শিয়ালদহ শাখার বিভিন্ন জায়গায় রেল লাইনের ১০-২০ মিটারের মধ্যে অন্তত ৫০টি পুজো মণ্ডপ রয়েছে। ফলে ওই জায়গাগুলোতে ভিড় সামাল দেওয়া ও যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মোতায়েন থাকবে আরপিএফ। তাদের সহযোগিতা করবে স্থানীয় থানার পুলিশ।
৩। দর্শনার্থীদের জন্য শিয়ালদহ, দমদম, কলকাতা এই তিন স্টেশনে থাকবে ‘MAY I HELP YOU’ বুথ। এখানে মিলবে স্থানীয় থানা, হাসপাতাল, দমকলের জরুরি নম্বর।
৫। উৎসবের দিনগুলোয় শিয়ালদহ স্টেশনের ব্যস্ত সময়ে বিশেষ করে বিকাল ৬টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলবে না কোনও ট্রলি।
৬। প্রত্যেকটি স্টেশনে বাড়তি লাইট লাগানো হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। যাত্রীদের যাতায়াতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তাই স্টেশনের রাস্তায় কোনও নির্মাণ সামগ্রী ফেলে না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৭। শিয়ালদহ স্টেশনে আরও ৫টি বাড়তি টিকিট কাউন্টার খোলা হবে। এসব কাউন্টারের জন্য অস্থায়ী টিকিট বুকিং ক্লার্ক নিয়োগ করা হবে।
৮। স্টেশনগুলোতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র থাকবে সমস্ত বুথে।
৯। শিয়ালদহ, বিধাননগর, দমদম, নৈহাটি, বালিগঞ্জ, সোনারপুর, কলকাতা, কাঁচরাপাড়া, ব্যারাকপুর, মাঝেরহাট, কৃষ্ণনগর প্রভৃতি স্টেশনে ট্রেন সম্পর্কিত ঘোষণা ও সময়সূচিতে বিশেষভাবে নজরদারি চালানো হবে।
১০। পুজোর দিনগুলোতে সব স্টেশনে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকবে।
১১। যাত্রীদের ভিড় সামলাতে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে অতিরিক্ত সাধারণ কোচ বাড়ানো হবে।
১২। উৎসবের সময় জিআরপিয়ের সহযোগিতায় মহিলা, শিশু ও প্রবীণ নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। ট্রেনের জন্য আরপিএফ এসকর্ট থাকবে।
১৩। রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী বিসর্জনের সময় চক্ররেলের চলাচল সীমিত করা হবে।
১৪। বিকাল ৬টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত সিনিয়র স্কাউটস, সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের মোতায়েন করা হবে যাত্রীদের দিক নির্দেশ করার জন্য। থাকবে সেন্ট জনস অ্যাম্বুলেন্সও।
১৫। শিয়ালদহ, দমদম, নৈহাটি, বারাসাতের মতো বড় স্টেশনে অসুস্থ যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য থাকবেন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। অন্যান্য স্টেশনে থাকবে পর্যাপ্ত ফার্স্ট এইড বক্স।