দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শুক্রবার গভীর রাতে বিদ্যাসাগর সেতুতে ডিভাইডার টপকে পর পর তিন গাড়িকে ধাক্কা মারে একটি বেপরোয়া ট্রাক। এর জেরে মৃত্যু হয় এক ট্রাক চালকের। এছাড়াও এই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও দু'জন। রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওড়ার দিক থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল একটি পণ্যবোঝাই ট্রাক। তবে সেটি বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডার ভেঙে অন্য লেনে ঢুকে পরে। এই আবহে কলকাতা থেকে হাওড়ার দিকে যাওয়া তিনটি ট্রাককে ধাক্কা মারে সেই ট্রাকটি।
জানা গিয়েছে, ডিভাইডার ভেঙে অন্য লেনে ঢুকে পড়া ট্রাকের চালকের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। দুর্ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছু ক্ষণ হাওড়ামুখী যান চলাচল বন্ধ থাকে। তবে কী কারণে এই দুর্ঘটনা? জানা যাচ্ছে, বিদ্যাসাগর সেতুতে অন্য একটি ট্রাকের সঙ্গে রেষারেষি চলছিল ঘাতক ট্রাকের। এর জেরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেই ট্রাকটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। এর জেরে ডিভাইডার ভেঙে যায়। সেই ট্রাকটি উলটো দিকের লেনে প্রবেশ করে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এদিকে ঘাতক ট্রাকের চালক মদ্যপান করে ট্রাক চালাচ্ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই দুর্ঘটনার জেরে রাতে প্রায় ১ ঘন্টার বেশি সময় দ্বিতীয় হুগলি সেতুর হাওড়া-কলকাতাগামী লেনে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। কয়েকদিন আগেই মা উড়ালপুলে মুখোমুখি গাড়ির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশের সতর্কতা সত্ত্বেও বেপরোয়া গতির জেরে দুর্ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না। পুজোর আগে রাতের শহরে তাই নজরদারি বাড়ানোর ভাবনায় কলকাতা পুলিশ। হরবসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং পুজো প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ডাক দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের নয়া কমিশনার মনোজ বর্মা।