• কেশপুরে আরজি করের মেডিক্যাল টিম, বন্যা দুর্গতদের পাশে জুনিয়র ডাক্তাররা
    এই সময় | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • বন্যা কবলিত দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলের তলায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাধিক অঞ্চল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ব্যাপারে আগেই জানিয়েছিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। সেইমতো, শনিবার কেশপুরে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পৌঁছল আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকদের টিম।শনিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়াতে আরজি কর থেকে মোট ১৩ জনের একটি বিশেষ টিম আসে ট্যাবাগেড়িয়া এলাকায়। জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, আরজি কর থেকে যে টিম এসেছে সেটা ভাগ হয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে যাবে। সেখানকার অসহায় মানুষদের চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন তাঁরা।

    আরজি করের এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, ‘আজ প্রায় ৪২ দিন হয়ে গেল আমাদের আন্দোলনের। প্রচুর সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই আমাদের আন্দোলনটা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও পৌঁছে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রতি আমাদের একটা দায়বদ্ধতা আছে। সেই কারণে বন্যা কবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে যে কোনও রকমের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমরা এখানে এসেছি।’

    গত বৃহস্পতিবারই জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছিলেন, শুক্রবার থেকে আংশিক কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হবে। এরপরেই তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম জেলায় জেলায় বন্যা কবলিত এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। শুক্রবারই আরজি কর-সহ তিনটি মেডিক্যাল কলেজের টিম পাঁশকুড়ার বন্যা কবলিত এলাকায় টিম পাঠায়। ত্রাণ সামগ্রী ও ওষুধ নিয়ে রওনা দেয় টিম। শনিবার আরজি করের আরেকটি টিম কেশপুরে যায়। কেশপুরের ১১ নম্বর অঞ্চলের কানাখালি গ্রামে গিয়ে হাঁটু সমান জলে দাঁড়িয়েই রোগী দেখেন ডাক্তাররা। বন্যা হওয়ার কারণে রাস্তার উপর জল দাঁড়িয়ে রয়েছে এখনও। গৃহবন্দী মানুষদের কাছে গিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেন অভয়া ক্লিনিকের সদস্যরা।

    উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুরের বন্যা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। ঘাটাল ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা, ডেবরা এবং কেশপুর এলাকায় এখনও বানভাসি বহু এলাকা। জেলায় প্রায় ৫০০টি ত্রাণশিবিরে মোট ১০ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। ধীরে ধীরে জল নামলে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)