কোন্নগরের মহাদেশ পরিষদ ক্লাব পরিচিত তাদের সাবেকি পুজোর জন্য। পুজোর দিনে এখানে বহু মানুষের ভিড় জমে। মূলত তরুণ তরুণীদের আকর্ষণের জায়গা মহাদেশ পরিষদের দুর্গা পুজো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে এই বছর ৮৫ হাজার টাকা সরকারি অনুদান ফেরত দিচ্ছে এই ক্লাব। বিষয়টি চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন, উৎসবে না ফিরতে চাইলেও দুর্গা পুজো সুষ্ঠুভাবে নিয়ম রীতি মেনে করতে চাইছেন এই বছর। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। শহর তৃণমূল কংগ্রেসের যুব ব্লক সভাপতি শতদ্রু কর বলেন, মহাদেশ পরিষদ ক্লাবটি সিপিএম পরিচালিত। সিপিএমের সমস্ত বৈঠক থেকে শুরু করে সম্মেলন সবই হয় ক্লাবের মধ্যে। দুর্গাপুজোকে পরিকল্পিতভাবে নষ্ট করার জন্য সিপিএমের লোকেরাই এই কাজ করছে। এলাকায় আরো ৫০ টি ক্লাব আছে যারা উৎসব পালন করবেন উৎসবের মতোই। মহাদেশ পরিষদ অনুদান না নিলেও অসুবিধা নেই। যাদের প্রয়োজন তাদের দেওয়া হবে।
বিজেপি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক সম্পাদক ইন্দ্রনীল দত্ত বলেন, আরজি কর ঘটনায় যেভাবে শাসক দল গোটা ঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যেভাবে তথ্য-প্রমান লোপাট করেছে, সাধারণ মানুষ তার প্রতিবাদে নেমেছে। নবগ্রাম মহাদেশ পরিষদ শুধু নয়, সারা বাংলার বহু ক্লাব এর প্রতিবাদে পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করছে। তৃণমূল সরকারের শেষের সময় এসে গেছে। আগামী নির্বাচনে মানুষ ভোটের ফলাফলের মাধ্যমে তা যথাযথ প্রমাণ দেবে। উল্লেখ্য, এর আগে হুগলিরই উত্তরপাড়ার তিনটে ক্লাব এবং কোন্নগরের দুটি ক্লাব পুজোর সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করে।