• কাক বেমালুম হাওয়া পরিবেশ থেকে, কীসের ইঙ্গিত এটা? ঘনাচ্ছে বিপদ
    আজকাল | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: কুচকুচে কালো তার গায়ের রং। এদিক ওদিক খুঁটে খাবার খায় সে। সকাল হলেই উঠোনে, কার্ণিশে, তারস্বরে হাকডাঁক শুরু করে দেয় সে। সন্ধ্যে হলে বাসায় ফেরে। কিন্ত কয়েক বছরে তার আর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না সেভাবে। এখানেই প্রমাদ গুনছেন বিশেষজ্ঞরা। কাক কমে যাওয়া মোটেই ভালো লক্ষণ নয় এমনটাই জানাচ্ছেন তারা।

    কাক কতটা গুরুত্বপূর্ণ তার উল্লেখ আছে পুরাণেও। সনাতন ধর্মে পিতৃপক্ষের তর্পণের পরে কাককে খাওয়ানো হয়। এমনকী শ্রাদ্ধের পিণ্ডও কাককে দেওয়া হয়। অথচ বিগত বছরগুলিতে গ্রাম ও শহর থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে এই পাখি। বিশেষ করে শ্রাদ্ধের খাবার পাওয়ার পর এই কাকগুলো দিনভর গ্রাম-শহরের বাড়ির ছাদে পাটাতনে এসে বসে থাকত। ওরা আওয়াজ করত, কিন্তু এখন এসব কাকও দেখা যায় না। সেই আওয়াজও শোনা যায় না।

    কাকের প্রতি ভালবাসার পিছনে রয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, পিতৃপক্ষের সময়, পূর্বপুরুষরা তাদের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে পৃথিবীতে আসেন। শ্রাদ্ধের দিন কাকদের খাবার খাওয়াই। বিশ্বাস করা হয় তাদের মাধ্যমেই পূর্বপুরুষরা আমাদের কাছে পৌঁছন। কিন্তু এখন তাদের দেখা অমিল হওয়া কি অশুভ ইঙ্গিত?

    এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাঃ মনীশ জৈনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, গ্রাম হোক বা শহর হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। পুরোনো-বড় গাছ-গাছালি কাটা হচ্ছে, কাক শুধু লম্বা গাছে বাসা বাঁধতে চায়। এমন পরিস্থিতিতে তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন দূষণের কারণে তাদের উর্বরতা কমে যাচ্ছে। সেজন্য সে এমন জায়গা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সে অন্য মানুষ হোক বা পশু বা পাখি সবাই তাদের সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত। কাক মরা পোকামাকড় খেয়ে কাটালেও নগরায়নের কারণে মাটিতে পোকামাকড়ের বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং ফসলে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এবার কাক মরা পোকা খায়। যার কারণে তাদের ডিমের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তাদের ছানা আক্রান্ত হয়। ফলত তারা লোকালয় থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

    যেহেতু তারা নোংরা খেয়ে পরিবেশ বাঁচায় তাই কাক কমে যাওয়া পরিবেশের ক্ষতি।
  • Link to this news (আজকাল)