অধীর জমানার অবসান, নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার
এই সময় | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অধীর জমানার অবসান। প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হলেন শুভঙ্কর সরকার। শনিবার রাতে এআইসিসির তরফে নতুন কংগ্রেস সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়।মল্লিকার্জুন খাড়গে জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পরে কংগ্রেসের প্রদেশ কমিটিগুলিতে সভাপতি পদে যে বদল হবে তা প্রায় নিশ্চিত ছিল। বাংলার লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরেই অধীর জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ‘অস্থায়ী সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করছেন। এমত অবস্থায়, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে অধীরকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে, নাকি অন্য কাউকে নিয়ে আসা হবে, সেই নিয়ে জল্পনা ছিল। সেই জায়গায় তুলনামূলক ‘নরমপন্থী’ শুভঙ্কর সান্যাল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হলেন।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর আসন থেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। টানা ২৫ বছর পর বহরমপুর আসন হাতছাড়া হয় অধীরের। তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছে হারতে হয় তাঁকে। এরপর থেকেই অধীর চৌধুরীর প্রদেশ সভাপতি থাকা নিয়ে অনেকটাই সংশয় তৈরি হয়।
অধীর জমানায় প্রদেশ কংগ্রেস, শাসক দল তৃণমূল এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপির সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রেখে চলেছে। এমনকী, সিপিএম এবং কংগ্রেসকে কাছাকাছি আনার জন্য বড় ভূমিকা ছিল অধীরের। এখন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কি সমীকরণ পাল্টাবে? উত্তর দেবে সময়।
রাজ্যে পালাবদলের সময় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে ছিলেন প্রবীণ নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। ২০১৪ সালের পর চার বছরের জন্য প্রদেশ সভাপতি হয়েছিলেন অধীর। এরপর প্রদেশ সভাপতি করা হয় বর্ষীয়ান কংগ্রেসন নেতা সোমেন মিত্রকে। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে সোমেন জিতলেও ‘জোট’ ভেঙে যাওয়ার পর সোমেন কংগ্রেসে ফিরে আসেন। এরপর ২০২০ সাল থেকে টানা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে ছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।