• সবুজের আড়ালে অবৈধ বাজি বিক্রি? খতিয়ে দেখে তবেই অনুমতি
    এই সময় | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • এই সময়: দুটি দোকানের মধ্যে ৯ ফুটের দুরত্ব রাখতে হবে। বিক্রি করতে হবে শুধুমাত্র নিরি অনুমোদিত সবুজ বাজি। মোতায়েন রাখতে হবে দমকলের পর্যাপ্ত গাড়ি এবং অ্যাম্বুলেন্স। স্টল তৈরির জন্য ব্যবহার করতে হবে টিন এবং ফায়ার প্রুফ ত্রিপল—এই সব নিময় মানা হয়েছে কিনা তা আগে ঘুরে দেখা হবে। সবকিছু খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হওয়ার পরেই শহরে বাজি বাজারের অনুমতি দেবে কলকাতা পুলিশ।শনিবার বাজি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা। সেই বৈঠক থেকেই উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাবতীয় নিয়ম মানা হয়েছে দেখলেই ক্রেতাদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বাজি বাজার। এই নিয়মগুলি মেনেই তাঁরা বাজি বাজার করবেন বলে পুলিশকে এদিনের বৈঠকে আশ্বস্ত করেছেন উদ্যোক্তারা।

    কালীপুজোর সাত দিন আগে থেকে টালা, কালিকাপুর, বেহালা ও শহিদ মিনার বাজি বাজার বসছে বহুদিন ধরেই। অভিযোগ, গতবারও বাজি বাজার থেকে সবুজ বাজির আড়ালে অবৈধ বাজি বিক্রি হয়েছে। সেকারণেই এ বিষয়ে বাড়তি সতকর্তা অবলম্বনের সিদ্ধান্ত। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন,‘যাবতীয় নিয়ম মানা হয়েছে কিনা তা আগে ঘুরে দেখা হবে। সবকিছু নিয়ম মেনে হলেই তবেই বাজার আমজনতার জন্য খুলে দেওয়া হবে।’

    প্রশাসন শুধু সবুজ বাজি বিক্রির কথা বললেও বাস্তবে তা কতটা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশকর্মীরা। কারণ, রাজ্যে নিয়ম মেনে সবুজ বাজি তৈরি করেন এমন ব্যবসায়ীর সংখ্যা হাতেগোনা। ফলে, নতুন লাইসেন্স প্রাপকদের পক্ষে শহরের ৪ টে বাজারে সবুজ বাজি সরবরাহ করা কী সম্ভব, উঠছে প্রশ্ন।

    পরিবেশ কর্মী নব দত্ত মনে করেন,‘কালীপুজোর অন্তত ছমাস আগে থেকে নিষিদ্ধ বাজি বন্ধ করার জন্য সক্রিয়তা দরকার। কিন্তু, সেটা হয়না।’ পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না বলেন,‘রাজ্য সরকারের কাছে আমরা সবুজ বাজি জোগানের আর্জি রেখেছি। আমাদেরও এখানেও কিছু সংস্থা সবুজ বাজি তৈরি করছে। আশা রাখি, বাজির জোগানের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না।’
  • Link to this news (এই সময়)