সোনার দোকানে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটছে বিভিন্ন জেলায়। ডাকাতি রুখতে এবার অভিনব প্রযুক্তি আনছে মালদা জেলা পুলিশ। দোকানগুলিতে বসানো হবে বিশেষ অ্যালার্ম সিস্টেম। বিশেষ প্রযুক্তির পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার শুরু হয় শনিবার থেকে।গত বছর আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মালদার চাঁচলে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। কয়েকদিনের মধ্যেই মালদার রতুয়াতেও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে সোনার দোকানে ডাকাতি রুখতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে মালদা জেলা পুলিশ প্রশাসন। সেই প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক কার্যকারিতা খতিয়ে দেখলেন জেলা পুলিশ সুপার।
শনিবার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব মালদা শহরের বিনয় সরকার রোড এলাকার এক সোনার দোকানে গিয়ে সেই প্রযুক্তি পরীক্ষামূলক ব্যবহার করেন। সোনার দোকানে ডাকাতির সময় কী ভাবে এই সিস্টেমের সাহায্যে অ্যালার্ম বেজে উঠবে, তা হাতেকলমে পরীক্ষা করা হয়। পুলিশের তরফে ‘প্যানিক বাটন’ সিস্টেমকে আরও আধুনিক করা হয়েছে। এই নির্দিষ্ট সিস্টেমটির সঙ্গে দোকানের শাটার এবং ভল্ট বা সিন্দুকের লকিং সিস্টেম যুক্ত থাকবে। এই সিস্টেম দোকানে অযাচিত লোকের প্রবেশের ব্যাপারে সতর্ক করে দেবে। পাশাপাশি, পুলিশের কাছে সরাসরি নির্দেশ পাঠানো যাবে কোনও দুষ্কৃতীমূলক কাজের ব্যাপারে।
গত ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর, আদ্রা থানার সুভাষনগর, আড়ষা থানার সেনাবনা এবং পুরুলিয়া মফস্বল থানার নদীয়াড়া গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি, কয়েকমাস আগেই আসানসোলের রানিগঞ্জের সোনা দোকানের ডাকাতি, হাওড়ায় ডোমজুড়ের ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্য পুলিশের তরফে বিভিন্ন গ্যাংকে পাকড়াও করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়। পাশাপাশি, সোনার দোকানগুলিতেও যাতে সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা যায়, সেই কারণেই এই নতুন উদ্যোগ বলে জানায় মালদা জেলা পুলিশ।