• পুজোয় গোলাপট্টি কিশোর সঙ্ঘে কেদারনাথ মন্দির
    বর্তমান | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সৌম্য দে সরকার, মালদহ: শতবর্ষ অতিক্রম করে আরও ২৫ বছর! স্বাভাবিক ভাবেই ১২৫ বছরে চমক থাকছে মালদহ শহরের গোলাপট্টি কিশোর সঙ্ঘের দুর্গাপুজোয়। এবার পুজোয় কেদারনাথের মন্দিরই মূর্ত হয়ে উঠতে চলেছে এই পুজো উদ্যোক্তাদের মণ্ডপে। পাশাপাশি মাতৃ প্রতিমাকে সাজানো হচ্ছে সিটিগোল্ড দিয়ে। সব মিলিয়ে দুর্গাপুজোয় এবার চমকের পর চমক দিতে তৈরি গোলাপট্টি কিশোর সঙ্ঘের সদস্যরা।


    ক্লাব সম্পাদক রাজীব সাহা বলেন, একেক বছর একেকটি বিখ্যাত মন্দিরের আদলে তৈরি হয় আমাদের মণ্ডপ। বুর্জ খলিফার ধাঁচে মণ্ডপ বানিয়েও এর আগে আমরা তাক লাগিয়ে দিয়েছি মানুষকে। আমাদের এবারের নিবেদন কেদারনাথের মন্দির। প্রায় ৬০ ফুট উঁচু হচ্ছে আমাদের মণ্ডপ। থাকছে দৃষ্টিনন্দন শিল্পও। বণিক ডেকরেটরস এবং প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী কৌশিক পোদ্দার নিজেদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা উজাড় করে দিয়ে তিলে তিলে গড়ে তুলছেন এই মণ্ডপ। 


    গোলাপট্টি কিশোর সঙ্ঘের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। সভাপতির পদে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিদ্যালয় শিক্ষক নৃপেন্দ্রলাল সাহা। প্রবীণ ও নবীনের সমন্বয়ে এই মুহূর্তে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতিতে চরম ব্যস্ত এই ক্লাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই।


    পুজো কমিটির সম্পাদক অরুণেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী বলেন, পুজোর মধ্যে পাড়ার সকলে মিলে পংক্তি ভোজন সারেন একদিন। তাতে আমন্ত্রিত অতিথিরাও অংশ গ্রহণ করেন।


    ১২৫তম বর্ষে গোলাপট্টি কিশোর সঙ্ঘের দুর্গাপুজোয় ঢাকিরা আসছেন নদীয়ার বেথুয়াডহরি থেকে। আলোকসজ্জা চন্দননগরের। 


    ক্লাব সম্পাদক রাজীব সাহা বলেন, আমাদের মাতৃ প্রতিমাকে সিটিগোল্ড বা ইমিটেশনের গয়নায় সাজানো হচ্ছে। 


    পুজো কমিটির সদস্যরা বলেন, এবার তাঁদের পুজোর বাজেট প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের হাত দিয়ে শুরু হওয়া এই পুজোর নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। তাঁদের দেখানো পথেই ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও আধুনিকতার মেলবন্ধনে এবার পুজোয় ব্রতী হয়েছেন তাঁরা।


    ১৯০০ সালে এই পুজোর সূচনা। গোলাপট্টি এলাকায় এক গাছতলায় ছিল দীনবন্ধু পণ্ডিতের পাঠশালা। ওই পাঠশালা চত্বরেই দুর্গাপুজো প্রথম। এখন ওই পাঠশালা রাজ্য সরকার পোষিত প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুর্গাপুজো এবং দীনবন্ধু পণ্ডিতের নাম মিলেমিশে গিয়ে এখন নাম দুর্গাদেবী দীনবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয়। সম্ভবত এটিই রাজ্যের একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে শতাধিক বছর ধরে হয়ে আসছে দুর্গাপুজো সরকারি অনুমতি সহ।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)