• ‘শহুরে আবাস’ প্রকল্পে রাজ্যের ১৯০ কোটি ছাড়ল মোদি সরকার
    বর্তমান | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • প্রীতেশ বসু, কলকাতা: কাজে গরমিলের অভিযোগ! এই অজুহাতেই প্রায় তিন বছর ধরে বাংলাকে গ্রামীণ আবাসের টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। রাজ্যের অনুরোধে মোদি সরকার এই খাতে টাকা ছাড়ার ব্যাপারে এক পা এগিয়েছিল। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির কথায় তা ফের আটকে গিয়েছে বলে অভিযোগ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একইভাবে শহুরে আবাসের ক্ষেত্রেও বেনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছিল গত লোকসভা নির্বাচনের আগে। দুর্নীতি নিয়ে বঙ্গ বিজেপির সেই দাবি একেবারেই ধোপে টিকল না। সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্যের পুর এলাকায় গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির জন্য সম্প্রতি ১৯০ কোটি টাকা ছাড়ল মোদি সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, বিগত দিনে পাওয়া অর্থ খরচের হিসেব দিলে তবেই মেলে পরবর্তী কিস্তি। তাই বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, চলতি এই প্রকল্পের টাকা ছেড়ে বঙ্গ বিজেপির অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করল কেন্দ্র। 


    সূত্রের খবর, কেন্দ্রের কাছ থেকে ১৯০ কোটি টাকা পাওয়ার পর শহুরে আবাস প্রকল্পে রাজ্যের অংশের টাকা বা ম্যাচিং গ্রান্ট দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে অর্থদপ্তর। বাংলার কোষাগার থেকে দেওয়া হবে ২৪৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট প্রায় ৪৪০ কোটি টাকা। রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকার গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির কাজের জন্য এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দ্রুত বরাদ্দ করা হবে। এবিষয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বিজেপি হাজার অভিযোগ তুললেও, তাঁদের সমস্ত দাবিই পরবর্তীকালে ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে। মানুষও বুঝে গিয়েছে, ওদের তোলা অভিযোগ কোনওভাবেই সঠিক নয়। আর সেই কারণেই এবার পুর এলাকার গরিব মানুষদের বঞ্চিত করার ছক কার্যকরী হল না।’


    প্রশাসনিক মহলের বক্তব্য, এই প্রকল্পের অধীনে নির্মিত বাড়ির গায়ে কেন্দ্রের ঠিক করে দেওয়া ‘লোগো’ বসানো সহ অন্যান্য একগুচ্ছ শর্ত ছিল। সেগুলি ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে বাংলায় পর্যবেক্ষক দলও পাঠিয়ে ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁরা পরিদর্শনে এসেও রাজ্যের পুর এলাকায় আবাস প্রকল্প নিয়ে কোনও রকম অনিয়ম খুঁজে পায়নি। বাংলাকে ক্লিনচিট দিয়েই কেন্দ্রের কাছে তারা রিপোর্ট জমা দিয়েছিল বলেও সূত্রের খবর। এর আগে ছ’মাস আটকে রাখার পর গত মার্চ-এপ্রিল নাগাদ শহুরে আবাস প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্য ৫০০ কোটি টাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল মোদি সরকার। এবার আসছে পরবর্তী পর্যায়ের ১৯০ কোটি টাকা। ফলে এইক্ষেত্রে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার সমস্ত দরজা বিরোধীদের কাছে বন্ধ হয়ে গেল বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের।
  • Link to this news (বর্তমান)