বর্তমান রাজ্য রাজনীতিতে এই রদবদল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশে। শুভঙ্কর বরাবরই রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কের সমীকরণ এবার বদলাতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। দিল্লির কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন শুভঙ্কর সরকারকে দায়িত্ব দেওয়ার ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের অতীতের সম্পর্ক আবার ফিরে আসতে পারে। শুভঙ্কর তৃণমূল কংগ্রেসের উপরে অনেক নরম মনভাবাপন্ন বলে মনে করেন অনেকে। বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর দিল্লিতে যাতায়াত ছিল। এর আগে তিনি রাহুল গান্ধীর টিমে কাজও করেছেন। তাই আজকের এই রদবদল আগামী দিনে বিজেপি বিরোধিতায় তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের এক নতুন সমীকরণের জন্ম নিতে পারে।
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই অধীররঞ্জন চৌধুরীর সভাপতি পদে থাকা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তিনি নিজেই সেই পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন। সেই সময় ভোটের ফলাফলে তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে কংগ্রেস হাইকমান্ডের অনেক মতবিরোধ ছিল। একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছিল তাঁদের মতানৈক্য। সেই জায়গায় শুভঙ্কর সরকারকে প্রদেশে কংগ্রেস সভাপতি করা এক ঢিলে অনেক পাখি মারার মতো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুভঙ্করের নির্বাচন নিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে। হাই কমান্ড ঠিক করেছে কাউকে একটা সভাপতি করতে হবে তাই ওকে সভাপতি করা হয়েছে। কোনও অসুবিধা নেই। পার্টিতে রদবদল হতেই পারে। ওকে চিনি। আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে, ভালো ছেলে। ভালো করে কাজ করবে এটাই চাইব, রাজ্য কংগ্রেসকে শক্তিশালী করবে। আমরা সবাই সাহায্য করব।
নতুন দায়িত্ব পেয়ে শুভঙ্কর সরকার বলেন, আমি মনে করি পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস কর্মীরা যেভাবে চাইবেন, প্রদেশ কংগ্রেস সেভাবে পরিচালিত হবে। দল আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, আমি প্রদেশ কংগ্রেস কর্মীদের প্রতিনিধি হিসাবে এবং সারা বাংলার মানুষের কংগ্রেসের প্রতি আশা আকাঙ্খাকে সঙ্গে নিয়েই আগামিদিনে প্রদেশ কংগ্রেস চালনা করব।
রাজনৈতিক মহল বলছে শুভঙ্কর সরকার এমন একজন নেতা, যিনি রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে চলতে পারবেন। রাজ্যে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসকে বাদ দেওয়া যাবেনা, সেই বক্তব্য শুভঙ্কর সরকার একাধিকবার, একাধিক মঞ্চে রেখেছেন।