এই সময়, কাটোয়া: কলেজের দুই অধ্যাপককে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় শোরগোল পড়ল কাটোয়ায়। দু’জনেই কাটোয়া কলেজে শিক্ষকতা করেন। তাঁদের মারধরে কারা জড়িত তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ। এমন ঘটনায় কলেজ শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার বলেন, ‘মারধরের দু’টি ঘটনাই নিন্দনীয়৷ আমরা পুলিশকে বলব কাটোয়া শহরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে।’শনিবার বিকেলে কলেজ ছুটির পর নিজের বিকল স্কুটি মেরামত করাচ্ছিলেন কাটোয়া কলেজের জুলজি বিভাগের অধ্যাপক চন্দ্রাণী দাস৷ তাঁর দাবি, কলেজের ঠিক পিছনের রাস্তায় ৫০-৬০ জন এসে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে আমি কলেজের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা করি৷ তা নিয়ে প্রায়ই আমাকে হুমকির মুখে পড়তে হয়৷ মামলা তুলে নিতে বলা হয়। কলেজে ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার স্কুটি খারাপ করে দেওয়া হয়েছে৷ আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি৷ আজ আমাকে মারধরের কারণ বুঝতে পারছি না৷ যারা মারধর করল তাদের চিনি না।’
এ দিকে, প্রায় একই সময়ে কাটোয়া কলেজের বিএড বিভাগের অধ্যাপক অর্পণ দাস ট্রেন ধরার জন্য যাচ্ছিলেন কাটোয়া স্টেশনে। টোটো থেকে নামতেই তাঁকে মারধর করা হয়। তিনি বলেন, ‘ওই সময়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে আমাকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারতে থাকে। আমার ট্যাব ভেঙে দেওয়া হয়৷ আমাকে কেন মারধর করা হলো বুঝতে পারছি না৷’ তবে দু’টি ঘটনাতেই এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কাটোয়া থানায় লিখিত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে পুলিশ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে।