অনুব্রতর জামিনে জেলা জুড়ে উচ্ছ্বাস, বাঘ ফিরছে জেলায়, দাবি ফিরাহাদের
এই সময় | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এই সময়, নয়াদিল্লি ও বোলপুর: তিহাড় জেল থেকে জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে উৎসবে মেতেছেন বীরভূম জেলার তৃণমূল কর্মীরা। জামিনের খুশিতে বিভিন্ন জায়গায় উড়ছে সবুজ আবির, সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘খেলা হবে’ গান। এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে সবুজ রসগোল্লাও। বীরভূমের নানুরে প্রায় ৪০০ গ্রামবাসীকে খাওয়ানো হয়েছে খাসির মাংস-ভাত। অন্যদিকে, বোলপুরের অনুব্রত মণ্ডলের নিচুপট্টির বাড়িতে শুরু হয়েছে রঙ করার কাজ।শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে দিল্লির রাউজ এভিনিউ আদালতের বিচারক জ্যোতি ক্লেয়ার যে নির্দেশ দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, অনুব্রতর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি ভিত্তিহীন৷ চার্জশিটে যে সব তথ্য পেশ করা হয়েছে, তা অভিযোগ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নয়৷ সবই অভিযুক্তদের বয়ান। পিএমএলএ-র ৫০ ধারার অধীনে এই বয়ান গ্রহণযোগ্য নয়।
কবে এই মামলার ট্রায়াল শুরু হবে কেউ জানে না৷ দু’বছরের বেশি সময় ধরে তাঁকে জেল বন্দি করে রাখা হয়েছে৷ একই সঙ্গে অনুব্রতর জামিন মামলায় আপ নেতা মনীষ সিসোদিয়ার প্রসঙ্গও টানেন বিচারক। তিনি বলেন, ‘মনীষ সিসোদিয়ার ক্ষেত্রেও দিনের পর দিন অভিযুক্তকে জেল বন্দি রাখা হয়েছিল৷ তাঁর বিরুদ্ধেও কোনও অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি৷’
এর পাশাপাশি বলা হয়েছে, গোরু পাচারের ঘটনার সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগাযোগ প্রমাণ করতে গিয়ে এমন সব ব্যাঙ্কের বিবরণী পেশ করা হয়েছে, যার কয়েকটি মূল ষড়যন্ত্রের আগের৷ এমনকী, যে সব কল ডিটেইলস রেকর্ড পেশ করা হয়েছে বা বিভিন্ন ব্যাঙ্কে জমা পড়া যে সব টাকার হিসেব দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে অনুব্রতর কোনও প্রত্যক্ষ যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷
এদিকে, জামিনের খবর পেতেই অনুব্রত মণ্ডলকে ফের ‘বীরভূমের বাঘ’ বলে সম্বোধন করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে ফিরহাদ বলেন,‘তিনি বীরভূমের বাঘ। বাঘ যখন খাঁচার ভিতরে থাকে তখন শেয়ালরা হাউমাউ করে। এ বার বিরোধীরা লেজ তুলে পালাবে।’
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী পাল্টা বলেন, ‘খাঁচার বাঘ বেরিয়ে আসলেই নাকি ভয়ে সবাই পালাবে। উনি বীরভূমের থ্রেট সিন্ডিকেটের মাথা না কি? বাঘের জায়গা খাঁচা, নয় জঙ্গল। সভ্য সমাজে নয়।’