মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ধর্না-অবস্থান তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এই পরিস্থিতিতে আর জি কর-কাণ্ডকে সামনে রেখে রাজনৈতিক আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছে বিরোধী দলগুলি। উৎসবের মরসুম শুরুর আগে যা সময় আছে, সেটাই কাজে লাগাতে চাইছে তারা, যা শুরু হয়ে গেল শনিবারই।
দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবিতে এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য-‘দুর্নীতির’ প্রতিবাদে এ দিন কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করেছে সিপিএমের শ্রমিক, কৃষক ও খেতমজুর সংগঠন। এ পর্যন্ত আর জি করের ঘটনায় ছাত্র, যুব ও মহিলারা ধারাবাহিক ভাবে সম্মিলিত আন্দোলন কর্মসূচি নিলেও শ্রেণিগত সংগঠনের পথে নামা এই প্রথম। কংগ্রেস সূত্রে খবর, কলকাতায় আগামী সপ্তাহের গোড়ায় তিন দিনের অবস্থান-কর্মসূচি হবে। সময় বেঁধে ধর্না চলবে। কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চা আগামী সপ্তাহে রাজ্য জুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতায় গণ-জমায়েতের ডাক দিয়ে রেখেছেন।
সিপিএমের শ্রমিক, কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের মিছিলে এ দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি ওঠে। ছিলেন সিটুর অনাদি সাহু, কৃষকসভার তুষার ঘোষ, অমিয় পাত্র, খেতমজুর সংগঠনের নেতা নিরাপদ সর্দার, এস এম সাদি প্রমুখ।
‘শ্রমিক-কৃষক দিচ্ছে ডাক, তিলোত্তমা বিচার পাক’, এই স্লোগান সামনে রেখে আন্দোলন গ্রামাঞ্চলেও ছড়ানোর কথা বলেন নেতৃত্ব। সংযুক্ত কিসান মোর্চার পশ্চিমবঙ্গ শাখার তরফে অমল হালদার, কার্তিক পালেরা জানান, প্রতিবাদ আন্দোলনে কৃষক-জনতাকে বেশি করে শামিল করার লক্ষ্যে ২৩ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ব্লকে ব্লকে প্রতিবাদ সপ্তাহের ডাক দেওয়া হয়েছে। গ্রামে পথসভা, হাটসভা, মিছিল হবে। নানা প্রতিবাদে যোগদানকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন তাঁরা।
এ দিন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী বলেন, “লাশ, ওষুধ, বর্জ্য, সবই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। সরকারি মদত ছাড়া এত বড় দুর্নীতি সম্ভব? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্রয় দিয়েছেন। কারণ তিনি দেখেন, আমার ভোটে জেতা নিয়ে কথা। শুধু আমার ভাগে যেন কম না পড়ে, বাকি তোমরা ভোগে যাও।”
তৃণমূলের যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ অবশ্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরবেড়িয়ায় পথসভায় বলেন, “খারাপ সময় আসে। তবে তা কেটেও যায়। এই পরিস্থিতির সুযোগে বিরোধীরা ক্ষীর খেতে চাইছে। দু’দিন মিছিল করে কোনও লাভ হবে না। ”