এই সময়, হাড়োয়া: বিদ্যাধরী নদীতে ভাসছে একাধিক কুমির—এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। শনিবার এই ঘটনা ঘিরে হাড়োয়ার বিদ্যাধরী নদী সংলগ্ন কুলটি জেলেপাড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নদীতে একটি বড় কুমিরের সঙ্গে দু’টি কুমিরকে ভাসতে দেখা গিয়েছে। কুমিরের ভয়ে এ দিন মৎস্যজীবীরা কেউ জলে নামেননি। বিষয়টির উপর নজর রাখছেন বন দপ্তরের কর্মীরাও।গত জুলাই মাসে হাড়োয়ার উত্তর রানিগাছি গ্রামে বিদ্যাধরী নদীতে প্রথম কুমিরের দেখা মেলে। প্রায় সাত ফুট লম্বা একটি পূর্ণবয়স্ক কুমির অগস্টের শুরুতে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে। মিনাখাঁর উঁচিলদহ গ্রামের কাছে বিদ্যাধরী নদী থেকে সেটিকে ধরা হয়। স্থানীয় মানুষ আগে কখনও বিদ্যাধরীতে কুমির দেখেননি। সে সময় কুমিরের ভয়ে বেশ কিছুদিন মৎস্যজীবীরা নদীতে নামেননি।
এ বার ফের বিদ্যাধরীতে কুমিরের দেখা মেলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। কুলটি জেলেপাড়ায় মৎস্যজীবীদের বাস। চিংড়ির মিন ধরতে মহিলারাও নদীতে নামেন। সাগর মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘নদীতে তিনটি কুমির ভাসছিল। একটি বড় ও দুটি ছোট কুমির। আমরা চাই বনদপ্তর কুমিরগুলি ধরার ব্যবস্থা করুক। না হলে আমাদের এলাকার মৎস্যজীবীরা নদীতে নামতে পারছেন না।’ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়ছেন দরিদ্র মৎস্যজীবীরা।
খবর পেয়ে বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে বাসিন্দাদের সতর্ক করেন। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাড়োয়ার বিদ্যাধরী নদীর সঙ্গে সুন্দরবনের নদীগুলির যোগ রয়েছে। খাবারের খোঁজে কোনও ভাবে কুমির চলে আসতে পারে