আরজি করে তৃণমূলের আন্দোলনকে সমর্থন মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের
এই সময় | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এই সময়, সোদপুর ও বারাসত: আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্ত দ্রুত শেষ করার দাবিতে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে পথে নামছে মহিলা তৃণমূল। বিরোধী দলের এই আন্দোলনকে এ বার সমর্থন করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।শনিবার বারাসতের নোয়াপাড়ার কাঠগোলায় মতুয়া প্রতিনিধি সম্মেলনে এসে শান্তনু বলেন, ‘আন্দোলনে নামা উচিত। তবে এখনই আমি কারও দোষ-গুণ দেখছি না। সিবিআই তদন্ত করছে। আমি শুধু দেখছি, যে লোকগুলো দোষী তারা সাজা পেল কি না।’
অন্যদিকে, মেয়ের নৃশংস হত্যার বিচার চেয়ে এ বার নিজের শহর সোদপুরেই শনিবার রাতে প্রতিবাদে সরব হলেন আরজি করে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা। এ দিন রাতে সোদপুর ট্র্যাফিক মোড়ে জাস্টিসের দাবিতে পথে নামে ছাত্র সমাজ। মানববন্ধন করে বিটি রোড অবরোধ করে প্রতিবাদে সোচ্চার হন ছাত্রছাত্রীরা। সেখানেই উপস্থিত হন নির্যাতিতার বাবা, মা, কাকিমা ও নিহত চিকিৎসকের ছোটবেলার এক বান্ধবী।
প্রতিবাদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, ‘৯ অগস্টের একটি ফোন কল আমার জীবন তছনছ করে দিয়েছে। যাঁরা আজ আমার মেয়ের বিচার চাইছেন তাঁরা সকলে আমাদের পরিবারের সদস্য।’ নিহত তরুণীর মা বলেন, ‘বিচার পেতে গেলে বিচার ছিনিয়ে নিতে হবে।’ শনিবারই স্বাস্থ্য ভবনের সামনের রাস্তায় আন্দোলনের সময় লেখা স্লোগান আলকাতরা দিয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নির্যাতিতার মা বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মনে যে প্রতিবাদ রয়েছে, তা আলকাতরা দিয়ে মোছা যাবে না।’ জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আংশিক প্রত্যাহার প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তাররা যা করছেন তা চিন্তাভাবনা করেই করছেন। ওঁদের আন্দোলনের সঙ্গে আছি-থাকব।’
সুপ্রিম কোর্টে শুনানি পিছনোর প্রসঙ্গে চিকিৎসক তরুণীর বাবা-মা কিছু বলতে রাজি হননি। তাঁদের জবাব, ‘এটা আদালতের বিষয়৷ তাঁরা যেটা ভালো বুঝবেন সেটাই করবেন। এতে আমাদের কিছু বলার নেই।’ এ দিন রাত আটটা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা বিটি রোডে অবরোধের জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।