সুমন করাতি, হুগলি: বিশাল উঁচু বাঁশের পরিকাঠামো। গায়ে বাটাম লেগেছে। এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ফাইবারের একাধিক মূর্তি। দম ফেলার জো নেই মণ্ডপ শিল্পীদের। হুগলির বলাগড়ে তৈরি হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের রামমন্দির। পুজো কমিটির কর্তাদের দাবি, তাঁরাই হুগলির বুকে প্রথম রামমন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছেন। চাপা উত্তেজনা রয়েছে পুজো কমিটি ও স্থানীয় বাসিন্দাদেরও মনে।
এবছর হুগলির জিরাট সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির প্লাটিনাম জয়ন্তী বর্ষ। ভগবান রামের মন্দির তৈরি করতে চলেছেন তাঁরা। পুরো মণ্ডপটি তৈরি হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব উপকরণে। ব্যবহার হচ্ছে বাঁশ, বাটাম, ফোম, ভেষজ রং, পাট ইত্যাদি। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আলোকসজ্জাতেও থাকছে বিশেষ চমক। থাকবে শব্দের ব্যবহার। সেই শব্দের সঙ্গে প্রতিমুহূর্তে রং পরিবর্তন হবে মণ্ডপের। চারপাশ জুড়ে থাকবে নারায়ণ, রাম-সীতা ও হনুমানের মূর্তি।
শিল্পী তপনকুমার পাত্র বলেন, “অযোধ্যার রামমন্দির তৈরি করতে যতটা জায়গার প্রয়োজন ততটা পাওয়া যায়নি। কিছুটা কাটছাঁট করেই এই মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ মণ্ডপে ফাইবারের কাজ থাকবে। চারপাশ জুড়ে থাকবে রামের মূর্তি। ভিতরে ২৫ ফুট বাই ২৫ ফুটের একটি ঝাড়বাতি তৈরি করা হবে।”
পুজো কমিটির সম্পাদক নীলাদ্রি মণ্ডল বলেন, “ভারতবর্ষে সবথেকে চর্চিত মন্দির রামমন্দির। গ্রামের বহু মানুষ আছেন যাঁদের রামমন্দির দেখার স্বপ্ন থাকলেও যাওয়ার উপায় নেই। বিশেষ করে তাঁদের কথা মাথায় রেখেই আমরা রামমন্দিরের অনুকরণে এই মণ্ডপ তৈরি করছি। আলোর সঙ্গে শব্দের ব্যবহার করা হবে। প্রতি মুহূর্তের মণ্ডপের রঙের বদলাবে। পুজোর বাজেট প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। প্রতিমাতে কোনও বদল ঘটবে না। সনাতনী মূর্তিপুজো করা হবে।”