আরজি করের আঁচ IMA-এর বৈঠকে, ‘উত্তরবঙ্গ লবি'র ৩ চিকিৎসককে 'বহিষ্কার'
এই সময় | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখার বৈঠকে তুলকালাম পরিস্থিতি। বৈঠক থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তিন চিকিৎসককে। চূড়ান্ত বাদানুবাদের পর বৈঠক না করেই বেরিয়ে যান চিকিৎসক তাপস চক্রবর্তী, জয়া মজুমদার ও প্রিয়াঙ্কা রানা। তিনজনেই ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র সদস্য বলে দাবি করেছেন অনেকেই।রবিবার আইএমএ-র রাজ্য শাখার নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই ৩ চিকিৎসককে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পার্ক সার্কাসে মেডিক্যাল কাউন্সিলের অফিসে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকে তাপস, জয়া ও কৃষ্ণা পৌঁছতেই রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখা যায় তৃণমূল নেতা ও চিকিৎসক শান্তনু সেনকে।
জানা গিয়েছে, চিকিৎসক তাপস চক্রবর্তী আইএমএ-র মালদা শাখার সভাপতি। আরজি করের ঘটনার পর তাঁকে ইতিমধ্যে পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি এ দিনের বৈঠকে যোগ দিতে এলে তাঁকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। বিক্ষোভের মুখে পড়েন কল্যাণী গান্ধী মেমোরিয়ালের চিকিৎসক জয়া মজুমদার এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রিয়াঙ্কা রানা। পরিস্থিতি চরমে পৌঁছতেই বৈঠকে যোগ না দিয়েই বেরিয়ে যান তাঁরা। এঁরা প্রত্যেকেই ‘উত্তরবঙ্গ লবি’-র সঙ্গে যুক্ত বলেই বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে জানান অনেকেই।
উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরেই রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ তোলা হয়। ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধের দাবি তুলে আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। একাধিক অভিযোগের নেপথ্যে উঠে আসে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র কথা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং প্রাক্তন আরএমও অভীক দে-র নামও সামনে আসে। তাঁদের ঘনিষ্ঠরা বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ‘দাদাগিরি’র পরিবেশ বজায় রাখতেন বলে দাবি করা হয়। সেই ঘটনার আঁচ এ দিন আইএমএর রাজ্য শাখার বৈঠকে দেখা গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।