• পরিষ্কার করা হচ্ছে 'কেষ্ট ধাম', পুজোয় অনুব্রতর পথ চেয়ে পরিবার
    এই সময় | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২০২২ সালে দোলের সময় দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। এরপর দীর্ঘ সময় তিনি তিহারে বন্দি ছিলেন। শুক্রবার তিনি জামিন পেয়েছেন। এরপরেই তাঁর বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি ঝাড়পোঁছের কাজ চলছে জোরকদমে। নানুরের হাটসেরান্দিতে এই নেতার গ্রামের বাড়ি। সেখানেও খুশির আমেজ। দুর্গাপুজোয় গ্রামের বাড়িতে আসবেন কেষ্ট, আশায় বুক বাঁধছেন কাকিমা বিজলি মণ্ডল।সোমবারই অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমে পৌঁছনোর কথা। শনিবার থেকেই তাঁর নিচুপট্টির বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। অনুব্রত এবং সুকন্যা মণ্ডল দু’জনেই গোরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হন। এরপর নিচুপট্টির দোতলা নীল-সাদা রঙা বাড়িতে কয়েকজন সুরক্ষাকর্মী ছাড়া কেউ থাকতেন না। বাড়ির চারিদিকে আগাছা জন্মেছিল। দিল্লি হাইকোর্টে আগেই জামিন পেয়েছিলেন সুকন্যা। শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করেছে। এরপরেই বোলপুরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে খুশির হাওয়া। তাঁর বাড়ির আশেপাশে আগাছা পরিষ্কার করা হচ্ছে। মোছা হচ্ছে গোটা ঘরও।

    সিউড়িতে দলীয় কার্যালয়ের তাঁর বসার ঘরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারির আগে অনুব্রত মণ্ডল প্রতি বছরই পুজো কাটাতেন তাঁর গ্রামের বাড়িতে। বহু মানুষ তাঁর সেই গ্রামের বাড়িতে দুর্গাপুজোয় অংশ নিতেন। শয়ে শয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকত মণ্ডলদের বাড়ির সামনে। কিন্তু নানুরের হাটসেরান্দি গ্রামের মণ্ডলবাড়ির পুজোয় গত দুই বছর সেভাবে জৌলুস ছিল না। কেষ্ট ছিলেন সুদূর তিহারে। কিন্তু এই বছর তিনি গ্রামের বাড়িতে পুজো কাটাতে আসতে পারেন বলে আশা করছেন প্রতিবেশীরা।

    অনুব্রত মণ্ডলের কাকিমা বিজলি মণ্ডল বলেন, 'দুই বছর কেষ্ট ছিল না। আমাদেরও মন অত্যন্ত খারাপ ছিল। পুজোয় সেভাবে কোনও আয়োজনও করিনি আমরা। এই বছর ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছে। আমরা তো বটেই, গ্রামবাসীরাও উল্লসিত।'

    অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিবেশী শীতলা মণ্ডল বলেন, 'ও যখন গ্রামে আসত সেই সময় অনেক বড় বড় লোকজনও পুজোয় অংশ নিতে আসতেন। কেষ্ট সকলের সমস্যার কথা শুনত। কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়ারও ব্যবস্থা থাকত। এই বছর ও ফিরবে শুনে মনটা খুশিতে ভরে উঠছে।’
  • Link to this news (এই সময়)