কৌটো নাচানো অতীত! QR কোড নিয়ে বানভাসিদের জন্য অর্থসংগ্রহে নামল ‘নতুন সিপিএম’
হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাম জমানাতেই মাঝেমধ্য়েই দেখা যেত যে কৌটো নাড়িয়ে চাঁদা তুলতে বের হচ্ছেন সিপিএম নেতৃত্ব। বাংলায় বন্যা কিংবা বক্রেশ্বরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হবে, সবক্ষেত্রেই কৌটো নাড়িয়ে অর্থ সংগ্রহে নামত সিপিএম। এটাই যেন সিপিএমের অন্যতম পরিচিতি হয়ে উঠেছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিপিএম নিজেদের বদলে ফেলেছে। এমনটাই বলেন অনেকে। এখন নাকি নতুন সিপিএম!
এবার বন্যা দুর্গতদের জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য সোশ্য়াল মিডিয়ায় কিউ আর কোড দিল বঙ্গ সিপিএম। এক্স হ্যান্ডেলে বঙ্গ সিপিএমের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, বানভাসি মানুষের পাশে বাংলার মানুষ। দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যাবিধ্বস্ত,মিলছে না সরকারি সাহায্য, আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। QR কোডটি স্ক্যান করুন। আপনার সাধ্যমতো সাহায্য করুন বন্যা তহবিলে। এই বার্তা দেখে চমকে উঠছেন অনেকেই।
একজন লিখেছেন, মাসের শেষ। তাও অল্প কিছু পাঠালাম ভালোকাজে আপনাদের সাথে থাকার জন্য। অপর একজন লিখেছেন, স্বৈরাচারী মোদীজির আনা ডিজিটাল পেমেন্ট কেন আমরা ব্যবহার করব? এটা ভারি অন্যায়। উনি জেনে যাবেন আমরা কত টাকা উসুল করছি। এর থেকে কৌটো নাচানো অনেক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। ৫০ শতাংশ ঝেড়ে দিলে কেউ জানতে পারত না। এই ডিজিটাল পেমেন্ট আমরা মানব না। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। কার্যত রসিকতা করেই লিখেছেন তিনি।
তবে ইতিমধ্যেই সিপিএমের নেতা কর্মীরা বন্যাত্রাণে বেরিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেই ত্রাণের জন্যই এই বিশেষ পদ্ধতি নেওয়া হচ্ছে। তবে এবার প্রশ্ন কেন কৌটো নাচানো নয়। নাকি সেই পদ্ধতি এখনও আছে। তার সঙ্গেই এই নয়া পদ্ধতি।
এদিকে ইতিমধ্যেই বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। এনিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিখেছেন, ২০২১ সালের ৪ঠা অগস্ট ও ৫ অক্টোবর চিঠি লিখেছিলাম। অপ্রত্যাশিত, অপরিকল্পিতভাবে বিপুল জল ছাড়া হয়েছে। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে প্রায় ৫ লাখ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এই বাঁধ ডিভিসির। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা যেমন পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। এর জেরে সাধারণ মানুষ মারাত্মক সমস্যার মধ্য়ে পড়ে গিয়েছেন। অতীতেও এই ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
মমতা লিখেছেন, ‘২০০৯ সালের পরে নিম্ন দামোদর ও সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ১০০০ বর্গকিমি এলাকারও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৫ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। শস্যের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে সম্পত্তির ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য সরকার বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের সমস্যা মেটাতে সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছেন। ত্রাণ শিবির তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’