আরামবাগ-খানাকুল পরিদর্শনে মুখ্যসচিব, জল নামলে বাঁধের কাজ শুরুর আশ্বাস
এই সময় | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
টানা বৃষ্টি ও ডিভিসি-র ছাড়া জলে প্লাবিত হয়েছে হুগলির খানাকুল, পুরশুড়া ও গোঘাট এলাকা। গত এক দশকেও এরকম ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা যায়নি বলে দাবি আরামবাগের বাসিন্দাদের। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ জলবন্দী হয়ে রয়েছেন। ভেঙে গিয়েছে একাধিক মাটির বাড়ি। পাকা বাড়ি ভেসে গিয়েছে জলের তোড়ে। বাড়ি ঘর ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু জায়গায়। রবিবার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবার ও পানীয় জল। আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ নৌকা করে খানাকুলের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বন্যা দুর্গতদের খাবার পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেন। মন্ত্রী বেচারাম মান্না-সহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা ও কর্মাধ্যক্ষরা পৌঁছে গেছেন ত্রাণ নিয়ে। যদিও নিচু এলাকাগুলিতে এখনও এক কোমর সমান জল জমে রয়েছে। মারোখানা, কিশোরপুর, বউবাজার-সহ খানাকুলের ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বেশ কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন রয়েছে। পুড়শুড়া এলাকাতেও এখনও জলযন্ত্রণা ভোগ করছে ওই এলাকার মানুষ।
রবিবার দুপুর একটা নাগাদ খানাকুলে আসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। কিশোরপুর অঞ্চলের তালিত-সহ বেশ কয়েকটি এলাকা তিনি পরিদর্শন করেন। বানভাসি মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। সঙ্গে ছিলেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন, হুগলি জেলাশাসক মুক্তা আর্য-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। বন্যা কবলিত মানুষদের হাতে ত্রাণ, জামাকাপড়, বই তুলে দেন মুখ্যসচিব। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যসচিব বলেন, ‘আমরা এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। বানভাসি মানুষদের সব রকমের সাহায্য করা হবে। জল একটু নামলেই বাঁধের কাজ শুরু হয়ে যাবে। ইরিগেশন ডিপার্টমেন্টের ইঞ্জিনিয়ারদের বলা হয়েছে, যাতে বাঁধের কাজ ভালোভাবে করা হয়। বাড়ি যাদের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরও ব্যবস্থা করা হবে।’
জেলা পরিষদের সভাপতির রঞ্জন ধারা জানান, পুড়শুড়া খানাকুল ১- ২, গোঘাট এবং আরামবাগ বন্যা কবলিত এলাকা। আরামবাগ, গোঘাট এখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত খানাকুল ১-র ৪-৫ টা গ্রাম পঞ্চায়েত জলের তলায় রয়েছে। খানাকুল এলাকায় এখনও পর্যন্ত প্রায় পাঁচ থেকে ছয়টি পঞ্চায়েত এলাকায় জলমগ্ন রয়েছে। তাঁদের কাছেও রান্না করা খাবার -সহ চিড়ে, দুধ, বিস্কুট, জামাকাপড় ও ত্রিপল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।