সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, 'ঘটনার দিন মেয়ের কাকা পরিচয়ে একজন সেখানে উপস্থিত ছিল। যে বলেছিল সেদিন পোস্টমর্টেম না হলে রক্তবন্যা বয়ে যাবে। বাড়ির লোকই চাপ দিয়েছিল তাই তাড়াতাড়ি পোস্টমর্টেম হয়েছিল। সেই ব্যক্তি একজন এক্স কাউন্সিলর। তবে তাঁর নাম বলতে পারব না।' কে ছিলেন সেই এক্স কাউন্সিলর তা বলেননি তিনি। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক জানান, 'নাম বলতে পারব না। ওই দিন মেয়ের কাকা পরিচয়ের একজন, নট ব্লাড রিলেটেড।' ওই কাউন্সিলর নির্যাতিতার এলাকারই এবং সেই বলেছিল ওই দিনেই পোস্টমর্টেম করতে হবে, জানান চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, 'তিনি যদি আগে কথাগুলো বলতেন তাহলে সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে সুবিধা হত। এর আগে দেখেছি একটা মন্তব্য এক এক জায়গায় একাধিকবার বদল হয়েছে। এবার ওই ব্যক্তি কোনও এক্স কাউন্সিলর ছিলেন কি না বা কেউ এক্স কাউন্সিলর পরিচয় দিয়ে ফোন করেছিলেন কি না, সেসব সিবিআই নিশ্চয় তদন্ত করবে।' রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য বলেন, 'চাপের মুখেই সরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন কাজ করতে হয়। কেউ কেউ লুটে অংশগ্রহণ করেন, কেউ ভয়ে ভক্তিতে আত্মসমর্পণ করেন। স্বাভাবিকভাবে যে পোস্টমর্টেম হয়নি এটা প্রত্যেকের মনের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত। শিক্ষিত ভদ্র এক চিকিৎসক এ ভাবে কত জেরার সম্মুখীন হবেন? তাই সত্যটা বলে ফেলেছেন।' ওই চিকিৎসকের নিরাপত্তার দাবিও তুলেছেন তিনি।