• R G Kar কাণ্ডে নাম জড়ানোর ফল! IMA-র বৈঠকে ৩ ডাক্তারকে ‘ঘাড় ধাক্কা’, ভোটে লড়বেন না শান্তনুও
    প্রতিদিন | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় তুমুল গণ্ডগোল। ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। হয় ধাক্কাধাক্কিও। আর জি কর কাণ্ডে নাম জড়ানোয় বৈঠক থেকে বের করে দেওয়া হয় তিন চিকিৎসককে। অ্যাসোসিয়েশনের সাফ দাবি, ‘অভয়া’ কাণ্ডে যোগ থাকা কোনও ডাক্তারকে সংগঠনে রাখা হবে না। এমনকী, আইএমএ-র কলকাতা শাখা ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ডিসেম্বরের ভোটে কারা অংশ নিতে পারবেন তা নিয়েও দানা বাঁধে বিতর্ক। এরই মাঝে IMA-বঙ্গীয় শাখার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ তথা চিকিৎসক শান্তনু সেন।

    এদিন নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা শুরু হতেই বাকবিতণ্ডা শুরু  হয়। সেখানে এসেছিলেন  আইএমএ-র মালদহ শাখার অপসারিত সভাপতি ডা. তাপস চক্রবর্তী, এপিডেমিওলজিস্ট ডা. প্রিয়াঙ্কা রানা এবং কল্যাণীর গান্ধী মেমোরিয়ালের অধ্যাপক জয়া মজুমদারও। তাঁদের ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করেন বাকি চিকিৎসকেরা। পরে তাঁদের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। অভিযোগ, ‘অভয়া’র মৃত্যুর পর সেমিনার হলে উপস্থিত ছিলেন ডা. তাপস চক্রবর্তী। ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। প্রিয়াঙ্কা ও জয়া বিতর্কিত চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। এই বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচার’ সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আবার অধ্যাপক জয়া মজুমদারের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সংগঠনের সদস্যদের দাবি,  তদন্ত যতদিন না শেষ হচ্ছে ততদিন এই তিনজন-সহ মোট পাঁচজনকে রাজ্য কাউন্সিল থেকে সাসপেন্ড করা হোক। 

    মেডিক্যাল কাউন্সিলের কলকাতা শাখার অন্যতম সদস্য হলেন ‘অভয়া’ কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত ডা. সন্দীপ ঘোষ, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসরা। তাই এই কলকাতা শাখা পুরোপুরি ভেঙে দেওয়ার দাবিও ওঠে। এমনকী, বৈঠক শেষে পদত্যাগ করেছেন কলকাতা শাখার সহ সভাপতি ডা. কৌশিক বিশ্বাসও। সংগঠনের ভিতরেই  সমান্তরাল সংগঠন চলছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ প্রসঙ্গে আইএমএ-র সহ সভাপতি সৌরভ দত্ত জানান, “সংগঠনেক অন্দরে সমান্তরাল উপদল তৈরি করা যাবে না। একসাথে একযোগে প্রতিবাদ করতে হবে।” 

    সূত্রের দাবি, উপদল তৈরির অভিযোগ ওঠে শান্তনু সেন ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এর পরই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন শান্তনু। আজ রাজ্য কাউন্সিলের  সম্পাদক পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় একাধিক স্থানীয় শাখা রাজ্য সম্পাদক হিসেবে আরও একবার তাঁর নাম প্রস্তাব করেন। এর পর শান্তনু নিজে ঘোষণা করেন যে তিনি মনে করেন বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে যুক্ত কোনও ব্যক্তির সম্পাদক হওয়া উচিত নয়। তাই তিনি আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। তবে এই সংগঠনের যখন যা প্রয়োজন তিনি নিশ্চয়ই পরামর্শ দেবেন ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)