• ‌দু’‌বছর পর বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী, কেষ্ট ফিরবেন দিদির কাছে!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নাগাড়ে বৃষ্টি এবং ডিভিসির মাত্রাতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে এখন বানভাসি বাংলা। এই আবহে আবার জেলা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি। দু’‌দিন আগেও তা তিনি করেছেন। হাওড়া, হুগলি থেকে শুরু করে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পাঁশকুড়া পরিদর্শন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সোমবার মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা থেকে বর্ধমান হয়ে দুর্গাপুরের উদ্দেশে আসবেন। রাতে দুর্গাপুর সার্কিট হাউসে থাকার পর সকালে সেখান থেকে বীরভূম যাওয়ার কথা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেখানে দুপুর দেড়টা নাগাদ প্রশাসনিক বৈঠক করবেন বলে খবর। আর সেদিন বীরভূমে থাকবেন কেষ্ট বলে খবর।

    ২০২২ সালের অগস্ট মাস। তখন থেকে জেলবন্দি বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে সোমবার জেলমুক্তি হতে চলেছে কেষ্টর। তার পরই আবার ‘নিজের গড়ে’ ফিরবেন অনুব্রত মণ্ডল। আর কাকতালীয়ভাবে মঙ্গলবারই বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দু’‌বছর কেষ্টর অনুপস্থিতিতে এই বৈঠক হয়নি। প্রত্যেক বছর কেষ্টকে পাশে নিয়ে জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করতেন দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকবেন কি না সেটা স্পষ্ট নয়। তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন অনুব্রত। ২ বছর ৯ দিন পর জামিন পেয়েছেন। এখন জেলমুক্তির কাউন্টডাউন চলছে। তার পরই বীরভূমে পা রাখবেন ভূমিপুত্র কেষ্ট।


    অনুব্রত মণ্ডল জামিন পেয়ে বীরভূমে তখন চলে আসবেন বলেই সূত্রের খবর। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই বীরভূমে যাওয়া সেদিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বীরের সম্মান দিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে আসতে ইতিমধ্যেই দু’‌জন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তিহাড় জেলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। সোমবার বর্ধমানের জেলাশাসকের দফতরে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা। তারপর সেখান থেকে দুর্গাপুর সার্কিট হাউজে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বোলপুরে প্রশাসনিক সভা। অনুব্রত মণ্ডলও জামিন পেয়ে মঙ্গলবার বীরভূমে থাকবেন বলে সূত্রের খবর।

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বরাবরের স্নেহের পাত্র অনুব্রত মণ্ডল। মুখ্যমন্ত্রী একদা বলেছিলেন, ‘কেষ্ট উন্নয়নের কাজটা সবার থেকে ভাল বোঝে।’‌ এই কথা তখন বলে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যখন কেষ্টর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কেষ্ট বলেছিলেন, উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। মুখ্যমন্ত্রী আগে বলেছিলেন, ‘‌কেষ্টকে কতদিন ধরে জেলে ভরে রেখেছে। বীরভূমে চক্রান্ত চলছে। কেষ্টকে বীরভূমের মানুষ ভোলেনি। কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনব।’‌ আর বৈঠক নিয়ে কাজল শেখ বলেন, ‘‌শর্ট নোটিশে বৈঠকে কোনও সমস্যা নেই। আমরা কাজের খতিয়ান নিয়ে সবসময় তৈরি।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)