• ছুটির দিনে পুজোর বাজারে কেনাকাটার ধুম
    বর্তমান | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: রবিবার ছুটির দিনে জমিয়ে পুজোর বাজার সারলেন বহু মানুষ। বহরমপুর সদরে এদিন সকাল থেকেই বেশ ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সূর্য পশ্চিমে হেলতেই খাগড়া বাজারের পথে যানজট শুরু হয়ে যায়। সকাল থেকে গ্রাম ও শহরতলির মানুষজন এদিন বহরমপুরে এসে বাজার করেন। সন্ধ্যার দিকে অবশ্য বাজারের দখল নেয় শহরের বাসিন্দারা। রাত পর্যন্ত চলে কেনাকাটা। পাশাপশি কান্দি, লালবাগ, ডোমকল, জঙ্গিপুর মহকুমার শহরের দোকানে ভালোই বিক্রি হয়েছে জামা কাপড়। রেডিমেড পোশাকের দোকানের পাশাপাশি শপিংমলগুলিতেও বেশ ভিড় ছিল। 


    দূর-দূরান্ত থেকে এসে বহরমপুর শহরে পুজোর বাজার করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা করেছিলেন অনেকেই। অনেকে আবার নিজের এলাকার বাজারেই ভিড় জমান। ফরাক্কা থেকে ফরাসডাঙা, সাগরপাড়া থেকে সাগরদিঘির মানুষ মেতে উঠল নতুন পোশাক কেনার আনন্দে। সবারই লক্ষ্য কমে দামে সেরা জিনিস। কেউ আবার দামের দিকে তাকালেন না, জামা-প্যান্ট, পাঞ্জাবি-চুড়িদার ও শাড়ির কোয়ালিটি দেখে ব্যাগ ভর্তি করলেন। তীব্র রোদের মধ্যেও চলে কেনাকাটা। গরম থেকে বাঁচতে অনেকে তাই এসি লাগানো দোকানে ভিড় করলেন। শহরের বাসিন্দারা আবার একটু বেলা বাড়তেই পা মেলালেন বাজারের পথে। ছোট বড় দোকানের পাশাপশি এদিন জেলার সর্বত্রই শপিংমলে ছিল থিকথিকে ভিড়। বেলা বাড়তেই বেশকিছু দোকান ও শপিংমলে পা গলানোর জায়গা ছিল না। পুজোর বাজারে ভিড় জমানো শহরবাসী বাইরেই খাওয়া দাওয়া সারেন। সেইমতো এদিন হোটেল রেস্টুরেন্টগুলিতেও ছিল ঠাসা ভিড়। কেউ মাছে ভাতে, আবার কেউ মাংস ভাত খেয়ে পেট ভরালেন। চাইনিজের পাশাপাশি বিরিয়ানির দোকানেও ভিড় ছিল ঠাসা। 


    মুর্শিদাবাদ জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি শেখর চাঁদ মারোঠি বলেন, রবিবার বাজারে ব্যাপক ভিড় হয়েছে। গত সপ্তাহের ছুটির দিনে বৃষ্টিতে মার খেয়েছিল ব্যবসা। এদিন তার অনেকটাই পুষিয়েছে। এদিন দুপুর থেকে এত ভিড় হবে আমরা আশা করিনি।


    চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, রবিবারের বাজার খুবই ভালো হয়েছে। ছুটির দিনে কেনাকাটা করতে বহু মানুষ ভিড় করেন। পুজোর আর বেশিদিন বাকি নেই। তবে সার্বিকভাবে গোটা জেলায় আশানুরূপ বিক্রি হয়নি। বন্যা পরিস্থিতির জন্য কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। ছোট দোকানগুলির অবস্থা খুব খারাপ। বড় দোকান ও শপিংমলের কারণে ছোট দোকানে ক্রেতা নেই। 


    খাগড়ার নতুনবাজারে পুজোর কেনাকাটা করতে এসেছিলেন ঈশিতা রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, রবিবারের বাজার একেবারে জমজমাট। এর আগে দু’দিন বাজার থেকে ঘুরে গিয়েছি। তবে এদিনই সবকিছু কিনছি। রবিবার বাজারে না বেরতে পারলে কেমন একটা মনে হয়। গোকর্ণের বাসিন্দা অরিজিৎ পাল বলেন, কেনাকাটা করার জন্য সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। দুপুরে খিদে পেয়ে গেল, তাই রেস্টুরেন্টে খেয়ে নিলাম। আরও কিছুটা কেনাকাটা করতে বাকি আছে। পরিবারের সকলের জন্য দেখেশুনে জিনিসপত্র কিনতে একটু সময় লাগছে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)