• বনদপ্তরের ডাকে দিল্লি থেকে কুলিকে, শীতেও এবার পক্ষী গণনার প্রয়োজন দেখছেন পক্ষীবিদ
    বর্তমান | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: শুধু গ্রীষ্মে নয়, শীতেও পক্ষী গণনার প্রয়োজন কুলিক পক্ষীনিবাস ও সংলগ্ন এলাকায়। এতে বিভিন্ন জলাশয়ের আশেপাশে থাকা পরিযায়ী পাখিদের বিস্তারিত তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা দেখছেন পক্ষীবিদ তরুণ কে রায়। বন দপ্তরের ডাক পেয়ে দিল্লি থেকে এসেছেন এই পক্ষীবিদ। রবিবার কুলিক পক্ষীনিবাসে বিশেষ কর্মশালায় তিনি পক্ষী গণনার পুরনো পদ্ধতি বদলের পক্ষেও সওয়াল করেন।


    সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে দু’দিন ধরে কুলিক পক্ষীনিবাস ও আশপাশের এলাকায় পরিযায়ী পাখিদের গণনা পর্ব সম্পন্ন করে বনদপ্তর। এবারও প্রথমে গাছের নাম্বারিং করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে কষা হয় প্রত্যেক গাছে পাখির বাসার হিসেব। শেষে প্রত্যেক গাছে কতগুলি বাসা রয়েছে, তার ভিত্তিতে চলে পাখির সংখ্যা হিসেবের কাজ। কিন্তু এই পদ্ধতিতে কিছু বদল চান পক্ষীবিদ। তাঁর কথায়, প্রত্যেক প্রজাতির পরিযায়ীর মধ্যে কিছু পার্থক্যযুক্ত পাখি থাকে। সেগুলিকে পৃথকভাবে গণনার আওতায় আনার প্রয়োজন আছে। তাহলেই কোনও পরিযায়ীর সংখ্যা বাড়ল না কমল, সে বিষয়ে আরও স্পষ্ট তথ্য সামনে আসবে। শীতের সময় গণনা হলে পক্ষীনিবাস ও আশপাশের জলাশয় এলাকায় শীতকালীন পরিযায়ী পাখিদের ব্যাপারে আরও তথ্য মিলতে পারে।


    তরুণের প্রস্তাব, পক্ষীনিবাসে পাখি গণনার জন্য আরও টাওয়ার বানানোর প্রয়োজন। বাড়াতে হবে ভলান্টিয়ারদের সংখ্যা। তবেই সুষ্ঠুভাবে গণনা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে রায়গঞ্জের এডিএফও সরোজ ভুজেল বলেন, পক্ষীবিদ আমাদের আমন্ত্রণেই এখানে এসেছেন। কর্মশালায় বনদপ্তরের আধিকারিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু পক্ষীবিদের বিভিন্ন প্রস্তাবের ব্যাপারে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)