• রাস্তার দায়িত্বে কোন সংস্থা, বোর্ডে লিখে আম জনতাকে জানানোর নিদান মেয়রের
    বর্তমান | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: খিদিরপুর থেকে হেস্টিংস হয়ে সোজা ওঠা যায় দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার এই অ্যাপ্রোচ রোড খানাখন্দে ভর্তি। এই রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে এইচআরবিসি। আবার গার্ডেনরিচের হাইড রোড কিংবা তারাতলা রোডের ক্ষতবিক্ষত অবস্থা হয়েছে। এই দু’টি রাস্তার দেখভাল করে কলকাতা বন্দর। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তা মেরামত না করায় সব দোষ এসে পড়ছে পুরসভার উপর। কারণ মানুষ জানেনই না কোন রাস্তা সংস্কারের ভার কোন সংস্থার উপর। ভোগান্তির মধ্যে পড়লে পুরসভাকেই গালমন্দ করেন তাঁরা। অথচ পুরসভা এর ভাগীদার নয়।


    তাই যে রাস্তা যে সংস্থার আওতায়, সেখানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিজেদের নাম ও লোগো সহ বোর্ড লাগাতে অনুরোধ করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সম্প্রতি পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক হয় পুরসভায়। সেখানে পুরসভার অফিসাররা ছাড়াও লালবাজার, পূর্তদপ্তর, বন্দর, সেনা, এইচআরবিসি, রেল সহ বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই গার্ডেনরিচের হাইড রোড ও গার্ডেনরিচ সার্কুলার রোডের প্রসঙ্গ ওঠে। এই এলাকাটি বন্দর বিধানসভার মধ্যে পড়ে। যেখানকার বিধায়ক খোদ ফিরহাদ হাকিম স্বয়ং। তিনি বলেন, বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাস্তাঘাটের শোচনীয় অবস্থার খবর পাচ্ছি। সব রাস্তা পুরসভার নয়। হাইড রোড, গার্ডেনরিচ সার্কুলার রোড, খিদিরপুরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার অ্যাপ্রোচ রোড যথাক্রমে কলকাতা বন্দর ও এইচআরবিসির। এই সংস্থাগুলি যেসব রাস্তা দেখভাল করে, সেখানে তাদের বোর্ড লাগালে ভালো হয়। তাহলে মানুষ জানতে পারবেন, কোন রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে কে। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের একতরফা অভিযোগ আর শুনতে হবে না পুরসভাকে।  


    পুজোর আগে শহরের কোন কোন রাস্তার গর্ত অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মেরামত করতে হবে, তার তালিকা ইতিমধ্যেই পুরসভার সড়ক বিভাগের হাতে তুলে দিয়েছে লালবাজার। তাতে মোট ৩০০টি স্পটকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য বেশ কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই পিচের প্রলেপ পড়েছে। বৃষ্টির কারণে যে সব রাস্তায় কাজ করা যায়নি, সেগুলি মহালয়ার আগেই সারাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।
  • Link to this news (বর্তমান)