• বন্যায় আমতা-উদয়নারায়ণপুরে ধান, সব্জি চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
    বর্তমান | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: ডিভিসির ছাড়া জলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে হাওড়ার আমতা ও উদয়নারায়ণপুর। রাস্তাঘাট, বাড়িঘরের পাশাপাশি বন্যায় চাষেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ধান ও সব্জি চাষ করে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে কয়েক হাজার কৃষক পরিবার। জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী আমতা ১ ও ২ নং ব্লক, বাগনান ১  ও ২ নং ব্লক এবং উদয়নারায়ণপুর ব্লকের ১১ হাজার ৪১১ হেক্টর জমির ধান, ৯২৮ হেক্টর জমির সব্জি চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পাঁচটি ব্লকের ৩৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭০টি মৌজার ৩৮ হাজার ৩৯৫টি কৃষক পরিবার ক্ষতির মুখে পড়েছে। 


    আমতা ২ নং ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৬টি মৌজার ৫ হাজার ২৭৭ হেক্টর জমির ধান, ৪৫০ হেক্টর জমির সব্জি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই ব্লকের ১৭ হাজার ৯০৭টি কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। আমতা ১ নং ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩২টি মৌজার ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমির ধান, ৯০ হেক্টর জমির সব্জি নষ্ট হয়েছে। ব্লকের ৪ হাজার ১৮৮ কৃষক পরিবার ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই বন্যায় উদয়নারায়ণপুর ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৪টি মৌজার ৪ হাজার ৪৭৯ হেক্টর জমির ধান ও ২৭৮ হেক্টর জমির সব্জি চাষের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৩৫। বাগনান ১ নং ব্লকের ১৪০ হেক্টর জমির ধান ও ৮০ হেক্টর জমির সব্জি চাষের ক্ষতি হয়েছে। এই ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬ টি মৌজার ৬৮০ টি কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। বাগনান ২ নং ব্লকেও ৪৫ হেক্টর জমির ধান এবং ৩০ হেক্টর জমির সব্জি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই ব্লকের ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২টি মৌজার ২৮৫টি কৃষক পরিবার ক্ষতির মুখে পড়েছেন। উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা জানান, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। যাঁদের শস্য বিমা আছে, তাঁরা টাকা পাবেন। তবে শুধু ধান বা সব্জি নয়, মাছ চাষের ক্ষেত্রেও ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়া হবে বলে জানান সমীরবাবু। এদিকে, রবিবার পর্যন্ত উদয়নারায়ণপুরের বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নতি হলেও আমতা ২ নং ব্লকের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। এখনও অনেক গ্রাম জলমগ্ন। রাস্তায় জল থাকায় যান চলাচলও বন্ধ। এদিন দ্বীপাঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ করেন বিধায়ক সুকান্ত পাল। তিনি জানান, এখনও ন’টি গ্রাম পঞ্চায়েত জলমগ্ন। ৩০টি ত্রাণ শিবিরে চার হাজার মানুষ আছে। এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিধায়ক।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)