সুব্রত বিশ্বাস: আর জি কর নিয়ে যখন আন্দোলন তুঙ্গে, ঠিক তখনই লোকাল ট্রেনের মধ্যে এক নার্সিং ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। শনিবার দুপুর সোয়া একটা নাগাদ ট্রেনটি মগরাহাট স্টেশনে আসার পর এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তকে না ধরতে পারলেও রেল পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, অভিযুক্ত ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’। যদিও পুলিশের এই প্রতিক্রিয়ায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজের নার্সিং ছাত্রীদের মধ্যে।
ওই মেডিক্যাল কলেজের সিক্স সেমেস্টারের নার্সিং ছাত্রী শনিবার ক্লিনিক্যাল ডিউটিতে যাচ্ছিলেন। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের আপ ডায়মন্ড হারবার লোকালের জেনারেল কামরায় চড়েন। সোয়া একটা নাগাদ ট্রেনটি মগরাহাট স্টেশনে পৌঁছতেই ট্রেনের কামরায় চড়ে এক মাঝবয়সি ব্যক্তি। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি নার্সিং ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা করে। কোনও যাত্রীরা প্রতিবাদ না করায় সে ফের যৌন নিগ্রহের চেষ্টা করে। বাধা পেয়ে খুনের চেষ্টাও করে বলে পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন অভিযোগকারী। ওই ছাত্রী বিকেলে ডায়মন্ড হারবার রেল পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ওই মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
রবিবার শিয়ালদহের রেল পুলিশের মহিলা সুপার জে মার্সি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’। অভিযুক্ত ধরা না পড়লেও পুলিশ কীভাবে তাকে ভারসাম্যহীন বলে জানিয়ে দিল, তা নিয়েও ছাত্রী মহলে প্রশ্ন ওঠে এসেছে। মহিলা সুপারের যুক্তি, অভিযোগের ভিত্তি ও সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা গিয়েছে। রেল পুলিশের আইজি দেবব্রত দাস জানিয়েছেন, অভিযোগের কথা তিনি জানেন না, তবে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে রেল পুলিশ।