দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের মর্মান্তিক পরিণতির সাক্ষী রইল ভাঙড় এলাকা। বান্ধবীকে নিয়ে হাড়োয়ার নামী রিসর্টে ঘুরতে যাওয়ার পর ফেরার পথে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হল এক ব্যক্তিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুশান্ত হালদার, বয়স ৫৬ বছর। কলকাতার ট?্যাংরা এলাকার বাসিন্দা তিনি। স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ভাঙড় থানার দ্বারস্থ মৃতের স্ত্রী। মৃত্যুর ঘটনায় তৃষ্ণা দাস নামে ওই বান্ধবীকে আটক করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসন্তী রাজ?্য সড়কের ভাঙড় থানা এলাকার পদ্মপুকুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। একটি চারচাকা গাড়ি থেকে সুশান্ত হালদার নামে ওই ব্যক্তিকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নলমুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত্যুর কারণ জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে নেমে ভাঙড় থানার পুলিশ জানতে পারে, বান্ধবীকে নিয়ে নামী রিসর্টে গিয়েছিলেন সুশান্ত। তার পরই এই ঘটনা। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা জানতে মৃত ব?্যাক্তির সঙ্গে থাকা বান্ধবী তৃষ্ণা দাসকে আটক করেছে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
কলকাতার ট্যাংরা এলাকার বাসিন্দা মৃত সুশান্ত হালদারের স্ত্রী সুস্মিতা স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ভাঙড় থানায় ছুটে আসেন। তিনি জানান, তাঁর স্বামীর সঙ্গে ওই মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরা প্রতি রবিবার বিভিন্ন হোটেল, রিসর্টে ঘুরতে যায়। এদিন হাড়োয়া থানা এলাকার ঘোষপুরের একটি নামী রিসর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্ত্রীর। এর জন্য তিনি স্বামীর বান্ধবীকেই দায়ী করেছেন। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ।