• দুর্গত এলাকায় গেলেন না দেব
    আনন্দবাজার | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংসদ এলাকা পাঁশকুড়ায় না আসা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) বরাবর সমালোচিত হয়েছেন এলাকাবাসীর কাছে। এবার পাঁশকুড়ার একটা বড় অংশ যখন বন্যায় ভেসেছে, তখন তিনি এলাকায় এসেও দুর্গতদের কাছে না যাওয়ায় ফের ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। তবে দেব বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার প্রশাসনিক বৈঠক সেরেছেন। আর ঘাটাল মাস্টার প্ন্যান রূপায়ণে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকায় নিয়ে তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে শ্লেষের সুর।

    মঙ্গলবার ভোরে পাঁশকুড়া এলাকায় মোট চার জায়গায় কংসাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যা হয়। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা পাঁশকুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। তবে সাংসদ দেব আসেননি। এ নিয়ে সমাজ মাধ্যমে দেবের উদ্দেশ্যে নানান কটূক্তি ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার তৃণমূলের তরফে জানানো হয় রবিবার দেব পাঁশকুড়া ব্লক অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। তারপর মঙ্গলদ্বারিতে দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবেনয় সেই মতো বিকেল ৪টা নাগাদ দেব পাঁশকুড়া ব্লক অফিসে আসেন। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, তমলুকের এসডিও, পাঁশকুড়ার বিডিও, পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক সারেন।

    প্রশাসনিক বৈঠক করে দেব কলকাতায় ফিরে যান। সাংসদ হিসেবে দেব গত পাঁচ বছরে একবারও পাঁশকুড়ায় আসেননি। এদিন ঘোষিত কর্মসূচি সত্ত্বেও দেব দুর্গত এলাকায় না যাওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। স্থানীয় বিজেপি নেতা সিন্টু সেনাপতি বলেন, ‘‘পাঁশকুড়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার ব্যর্থ। বহু মানুষ এখনও ত্রাণ পাননি। দেব এলে দুর্গতদের বিক্ষোভের মুখে পড়তেন। এটা আঁচ করেই উনি যাননি।’’

    দুর্গত এলাকায় কেন যাননি, সে নিয়ে অবশ্য দেব নিজেই জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘‘এলাকায় গিয়ে ছবি তোলার চেয়ে প্রশাসনিক কাজের তদারকি আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার লোকসভা অনেক বড়। যেদিন জল ছাড়া হয়, সেদিন থেকে আমার দল ঘাটাল এলাকায় কাজ করছে।’’ এর পরেই আরও একবার উঠে আসে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রসঙ্গ। দেব বলেন, ‘‘শুধু রাজ্য কেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের দায়িত্ব নেবে? এটা তো কেন্দ্রীয় সরকারেরও দায়িত্ব। বিজেপি এখানে হেরে গিয়েছে বলে কোনও কাজ করবে না, এটা ঠিক নয়। শুভেন্দু অধিকারীকে বলব, আসুন আমিও করি, আপনিও করুন। অধিকারী ব্রাদার্স মিলে যদি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানটা করা যায়, তাহলে একটা ভাল বার্তা যাবে।’’ দেব এ দিন জানান, আগামী জানুয়ারিতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হয়ে যাবে। কাজ শেষ হতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে।

    এদিন কোলাঘাটের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দেড়িয়াচক, ভোগপুর এলাকায় আসেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিজিৎ বলেন, ‘‘সেচ দফতর সোয়াদিঘি খাল সংস্কার না করায় বন্যা হয়েছে। অবিলম্বে এই খাল সংস্কার করতে হবে। এটার জন্য যতদূর যেতে হয়, আমি যাব। প্রয়োজনে এখানে তাঁবু খাঁটিয়ে আমি অনশন করব।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)