বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে যে সব জায়গায়, সেখানে বিপন্ন মানুষের সহায়তায় দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী এবং ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ বাহিনীর সদস্যেরা নেমেছেম আগেই। এ বার আর্ত মানুষকে সাহায্যের জন্য সাধারণ মানুষের কাছেই আর্থিক সহায়তার আর্জি জানাল সিপিএম। ‘ক্রাউড ফান্ডিং’-এর এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বানভাসি মানুষের পাশে বাংলার মানুষ’। সিপিএমের যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় রবিবার বলেছেন, ‘‘দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যাবিধ্বস্ত, অনেক জায়গায় মিলছে না সরকারি সাহায্য।’’ এই প্রেক্ষিতেই তাঁর আবেদন, ‘‘আপনাদের সাধ্যমতো সাহায্য করুন বন্যা তহবিলে।’’ সিপিএমের কর্মীরা এলাকায় ঘুরে গণ-সংগ্রহ যেমন করছেন, তেমনই কিউ আর কোডের মাধ্যমেও সহায়তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বাঁধ ও ব্যারেজ নিয়ন্ত্রণ, নদী-নালার জল নিষ্কাশনের দিকে নজর রাখা, উদ্ধার, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে সরকারের উপরে চাপ রাখা, ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’-এর সক্রিয় থাকা এবং সর্বতো ভাবে মানুষের পাশে থাকা-সহ একগুচ্ছ নির্দেশ আগেই দলের কর্মীদের দিয়েছিল সিপিএম। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রচার শুরু হয়েছে, আর জি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়ে যে বিরোধীরা রাস্তায় নেমেছে, তারাই বন্যায় মানুষের পাশে নেই। এই প্রেক্ষিতে আরও সক্রিয়তা বাড়াতে চাইছে সিপিএম। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, ‘‘বন্যা প্রতিরোধে রাজ্য সরকার কোনও প্রস্তুতি নেয়নি। এখন মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে চাইছেন। বন্যার জল যখন ঢুকছে, ঘরবাড়ি ভাঙছে, মানুষ আক্রান্ত, তখন চিঠি লিখতে হচ্ছে? সংসদেও বিজেপি ও তৃণমূলের সাংসদেরা বন্যা নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করেননি। বামফ্রন্ট সরকার জুন মাস থেকেই প্রত্যেক বছর বন্যা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিত।’’