হরিদেবপুরের গার্লস হস্টেলে শ্লীলতাহানির শিকার ৫ ছাত্রী, ৩ অভিযুক্ত গ্রেফতার
আজ তক | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কলকাতার হরিদেবপুরে একটি মেয়েদের হস্টেলে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ৷ হোস্টেলের সব ওয়ার্ডেনই মহিলা। তাঁদেরই একজনের স্বামী স্কুল ছাত্রীদের একাধিকবার শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত কেওপুকুর এলাকায়। দক্ষিণ-পশ্চিম কলকাতা এলাকার হরিদেবপুরে সেন্ট স্টিফেন স্কুলের হোস্টেলে ক'য়েকশো ছাত্রী থাকে। ওই বালিকা হোস্টেলের ওয়ার্ডেন-সহ সব কর্মচারীই নিয়ম-কানুন অনুযায়ী মহিলা। কিন্তু তারপরও কীভাবে এই শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটল?
সূত্রের দাবি, কিছুদিন আগে বিয়ে হয় হোস্টেলের মহিলা ওয়ার্ডেনের। এরপর থেকে তার স্বামী প্রায়ই হোস্টেলে আসতেন এবং তাঁর সঙ্গে রাত কাটাতেন। অভিযোগ, মিশন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই ওয়ার্ডেনের সঙ্গে হস্টেলে থাকতেন তিনি। এক অভিভাবক বলেন, "এটা যেকোনও হস্টেলের নিয়মের পরিপন্থী। কর্তৃপক্ষের বৈধ অনুমতি ছাড়া কোনও পুরুষকে কোনও মেয়ের হস্টেলে রাত্রিযাপন করতে দেওয়া হয় না"।
অভিযোগ করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগে ওয়ার্ডেনের ওই স্বামী প্রথমে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে এবং তারপর আবার হোস্টেলে আরও তিন ছাত্রীকে লাঞ্ছিত ও যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। রবিবার ঘটনা দুটি প্রকাশ্যে আসে। প্রতি রবিবার অভিভাবকদের অনুমতি দেওয়া হয় হস্টেলে তাঁদের মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে। গতকাল অভিভাবকরা ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে এলে নির্যাতিতা সব মেয়েই তাঁদের অভিভাবকদের কাছে পুরো বিষয়টি জানায়। এরপর স্কুলের সকল অভিভাবকেরা ঘটনাটি জানতে পারেন। পরে তারা হরিদেবপুর থানায় গিয়ে পুরো বিষয়টি জানায় এবং লিখিত অভিযোগ দেয়।
ইতিমধ্যে মহিলা ওয়ার্ডেন, সেন্ট স্টিফেন স্কুলের এক শিক্ষিকা এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জড়িত আরও একজনকে হরিদেবপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। হস্টেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। হরিদেবপুর থানার সামনে ছাত্রাবাস ও অভিভাবকদের ভিড়ে উত্তেজনা রয়েছে।