নিহতের বাবার হয়ে পুলিসের এফআইআর কপি নিয়েছিলেন, শ্মশানের নথিতেও সই করেছিলেন ওই প্রাক্তন কাউন্সিলর। নাম সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে নির্যাতিতার বাড়ির পাশেই বাড়ি তাঁর। বর্তমানে আর রাজনীতি করেন না। পাশের বাড়ির চেনা জানা এক তরুণীর সঙ্গে এরকম ঘটনা হয়েছে জানতে পেতে তাঁর বাবা-মার সঙ্গে হাসপাতালে আসেন। বিভিন্ন বিষয়ে তদারকি করেন। শ্মশানের সার্টিফিকেটও নেন।
এদিকে, ডা অপূর্ব বিশ্বাসের ওই মন্তব্য শুনে মুখ খুলেছেন ওই প্রাক্তন বাম কাউন্সিলর সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কোনও হুমকি তিনি দেননি। ময়না তদন্ত যাতে দ্রুত হয়ে তার জন্য চেষ্টা করেছিলেন। নির্যাতিতার বাবা-মা কাজ করার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না। সেইসময় পাশে কেউ ছিল না। তাই হাসপাতাল থেকে শ্মশান সব জায়গাতেই তিনি ছিলেন। হুমকি দেওয়ার কোনও ক্ষমতাই তাঁর নেই। যে অভিযোগ উঠেছে তার কোনও ভিত্তি নেই। কোনও অন্যায় তিনি করেননি।
গতকাল কী বলেছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অপূর্ব বিশ্বাস? সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, 'ঘটনার দিন মেয়ের কাকা পরিচয়ে একজন সেখানে উপস্থিত ছিল। যে বলেছিল সেদিন পোস্টমর্টেম না হলে রক্তবন্যা বয়ে যাবে। বাড়ির লোকই চাপ দিয়েছিল তাই তাড়াতাড়ি পোস্টমর্টেম হয়েছিল। সেই ব্যক্তি একজন এক্স কাউন্সিলর। তবে তাঁর নাম বলতে পারব না।' কে ছিলেন সেই এক্স কাউন্সিলর তা বলেননি তিনি। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক জানান, 'নাম বলতে পারব না। ওই দিন মেয়ের কাকা পরিচয়ের একজন, নট ব্লাড রিলেটেড।'