উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর থানার ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রুইয়া আদিবাসী গ্রামের এক বিবাহিত মহিলা গ্রামেরই এক যুবকের সাথে ভালোবাসা করে বিহারে পালিয়ে যায়। এরপর গ্রামবাসীরা তাদের ধরে গ্রামে নিয়ে আসে। গ্রাম্য সভায় তাদের চুল কেটে নাড়া করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তের পর ওই যুগলের মাথার চুল কেটে নাড়া করে বেঁধে রাখা হয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই এলাকা জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, এই ধরনের ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ইসলামপুর পুলিস জেলার পুলিস সুপার জানিয়েছেন।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নাসিম আলম বলেন, ওই মহিলার চরটি বাচ্চা রয়েছে। স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। স্থানীয় লোকজন তাদের ধরে ফেলে। এরপরই তারা বিহারে চলে যায়। কিন্তু স্থানীয় আদিবাসীরা তাদের বিহার থেকে উদ্ধার করে আনে। এরপরই তাদের বেঁধে রেখে পঞ্চায়েতের সদস্যের খবর দেওয়া হয়। আমি গিয়ে ওদের বাঁধন খুলে দিই। তারপর আদিবাসী লোকজন সালিশি সভা ডেকে বলে তারাই ওই যুগলের শাস্তির ব্যবস্থা করবে। শেষপর্যন্ত আদিবাসী সমাজের লোকজনই ওদের মাথা ন্যাড়া করে। তবে ওদের মারধর করতে নিষেধ করেছি। কোনও মহিলার মাথার চুল কেটে নেওয়া অত্যন্ত খারাপ কাজ। ওরা আমাদের কথা শুনবে না।