আরশির বর্তমান বয়স মাত্র ৬ বছর ১১ মাস। এই বয়সে শিশুরা যখন সবে লেখাপড়া শেখে, তখন আরশি গড়গড়িয়ে বলতে পারে দেশের সবকটি অঙ্গরাজ্যের রাজধানীর নাম। ১১টি ইংরেজি শব্দের বানান স্মরণ করতে পারে সে। এই বয়সেই সে বলে দিতে পারে কোন গুরুত্বপূর্ণ দিনে কি ঘটেছিল। আর সেই অবাক কীর্তিতেই ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম উঠেছে আরশির। আরশির পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে আরশিকে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে ‘আইবিআর অ্যাচিভার’-এর খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে আগষ্টের ১২ তারিখে। ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস থেকে পাঠানো হয়েছে শংসাপত্রও।
এত কম বয়সে মেয়ের এই সাফল্যে স্বভাবতই গর্বিত পেশায় প্রান্তিক চাষি বাবা লুৎফর রহমান এবং গৃহবধূ মা নুরবাণু। আরশির প্রশংসায় পঞ্চমুখ মিন্টু মহম্মদ, কাজী নজরুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, রবিউল ইসলামের মতো গ্রামবাসীরাও। স্থানীয় সারদা শিশুতীর্থের ছাত্রী আরশি ভবিষ্যতে পাইলট হতে চায়। তার এই স্বপ্নের উড়ান সফল হোক, চাইছেন এলাকার বাসিন্দারা।